শেরপুর জেলার সদর উপজেলা চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের জামালপুর-শেরপুর-বনগাঁও সড়কের ৭ কিঃ মিঃ এ শিমুলতলী সেতু ও একই সড়কের ৯ কিঃ মিঃ এ পোড়াদাহ সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
আজ ৪ জুলাই শনিবার দুপুরে দু’টি সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আতিউর রহমান আতিক এমপি। ওইসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ (প্রাঃ) লিমিটেড কর্তৃক দু’টি সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী শেষে বালু মিশ্রিত নিম্নমানের পাথর এবং নিম্নমানের লাল বালু দিয়ে সেতুর কাজ এবং পাইলিং কাজে পূর্বের ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
সেই সাথে ১টি সেতুর কাজ বন্ধ রাখার জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদকে নির্দেশনা দেন এবং কাজের গুণগতমানোন্নয়নের সঠিক তদারকির জন্য নির্দেশনা দেন তিনি।
শেরপুর সদর উপজেলার নন্দীর বাজার এলাকার শীমুলতলী ও পোড়ার দোকান এলাকার সড়কে শত বছর ধরে বন্যা ও বর্ষা মৌসুমে দু’টি কজওয়েতে বন্যার পানিতে যানবাহন এবং মানুষ চলাচল ও উত্তর বঙ্গের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। শেরপুর বাসীর এমন দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে ও এর থেকে উত্তরণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে হুইপ আতিক ওই সড়কের দু’টি সেতু এবং সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য উদ্যোগ নেন। এতে শিমুলতলী সেতুর দৈর্ঘ্য ১২৫.৪৯৭ মিটার, ৪টি স্পেন এবং প্রাকল্লিত ব্যয় ১৮ কোটি ৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আর পোড়াদাহ সেতুর একই দৈর্ঘ্য ৪টি স্পেন এবং প্রাকল্লিত ব্যয় ২০ কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৯ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। এ দু’টি সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ শেষে হলে বর্ষা ও বন্যা মৌসুমে উত্তর বঙ্গের সাথে সড়ক যোগাযোগ এবং যানবাহন চলাচলে কোন বিঘ্ন ঘটবে না বলে এমনটাই প্রত্যাশা শেরপুরবাসীর।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুর পাইলিংয়ের কাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী বিশেষ করে ভাল মানের পাথরের পরিবর্তে পূর্বের পাইলিংয়ের কাজের ইট-খোয়ামিশ্রিত পাথর ব্যবহার করা হচ্ছে।
ওই সময় হুইপ আতিক নিজেও সেতুর নির্মাণস্থলের সড়কের পাশে স্তূপাকারে রাখা নিম্নমানের পাথর দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ জন্য দায়ী সওজ’র তদারকি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। পরে হুইপ আতিক শিমুলতলী এলাকার সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার ঘোষণা দেন এবং নিম্নমানের সামগ্রী পরিবর্তন করে ভালোমানের সামগ্রী আনিয়ে তারপর কাজ শুরুর নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। এ ছাড়া যে কয়টি পাইলিংয়ে ওইসব পাথর ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখা হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে শেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারুক আল মাসুদ, শেরপুর জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন