বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৯ সুস্থ ৫৪ ভাগ

ধীরে কমছে সংক্রমণ

রফিকুল ইসলাম সেলিম : | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে। কমছে মৃত্যুর হারও। কয়েক দিন আগেও সংক্রমণ, মৃত্যু দুটোই উর্ধ্বমুখী ছিলো। এখন তা নিন্মমুখী হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন। এক সপ্তাহ আগে নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিলো ৩৩ শতাংশ। গত কয়েক দিনে তা ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬৩ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। পজেটিভ হওয়ার হার ২১ শতাংশ।
এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১৮৭ যা, মোট আক্রান্তের ১.৯ শতাংশ। গত ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩৬ হাজার ৪৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে গড় শনাক্তের হার ২৬ শতাংশ। সিভিল সার্জন ডা. ফজলে রাব্বি বলেন, এক সপ্তাহ আগে এ হার ছিলো ৩৩ শতাংশ, এখন তা ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। গতকাল সুস্থ হয়েছেন আরো ১৪৪ জন। মোট সুস্থ ৫ হাজার ১৭৪ জন। সুস্থতার হার বেড়ে প্রায় ৫৪ শতাংশ হয়েছে। এদিকে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল বাড়ছে। বাড়ছে অক্সিজেন, আইসিইউ সার্পোটও। সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি ফিল্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতেও চিকিৎসা পাচ্ছেন করোনা রোগীরা। তবে এখনও বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের এড়িয়ে চলা বিশেষ করে আইসিইউ সুুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ আছে।
অন্যদিকে উপসর্গ নিয়ে রোগীদের এখনও হয়রানী আর চিকিৎসা না পাওয়ার ঘটনা ঘটছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের একশ’ আর ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ৩০ শয্যা নিয়ে চট্টগ্রামে শুরু হয় করোনা চিকিৎসা। এখন জেনারেল হাসপাতালে ১৬০ শয্যা এবং ১০ শয্যার আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে। চমেক হাসপাতালে একশ’ শয্যার সাথে ৫টি আইসিইউ চালু হয়েছে। সেখানে করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে প্রায় ৫শ’ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে।এছাড়া রেলওয়ে হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি ইউএসটিসি, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপতালে করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। এছাড়া পতেঙ্গা হাইস্কুলে ৫০ শয্যা, একই এলাকায় সিএমপি-বিদ্যানন্দ ফিল্ড হাসপাতালে একশ’ শয্যা, আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের সিটি হলে সিটি কর্পোরেশনের আড়াইশ শয্যার আইসোলেশনেও চিকিৎসা চলছে। নগরীর হালিশহর ও বাকলিয়ায় চালু হয়েছে দুটি আইসোলেশন সেন্টার। নগরীর সল্টগোলায় বিজিএমইএর উদ্যোগে চালূ হয়েছে ৫০ শয্যার আরও একটি হাসপাতাল। আগেই সীতাকুন্ডে চিকিৎসা সেবা শুরু করে ডা. বিদ্যুৎ বডুয়ার প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল।
সরকারের হুমকি ধমকির পর নগরীর প্রায় সবকটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা ইউনিট চালু হয়েছে। সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য মতে বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তি আছেন ১১৭ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৩৮৩ জন। আর আইসিইউতে ভর্তি আছেন ৩৪ জন। বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের অক্সিজেন সার্পোট দিতে হাইফ্লো নজেল ক্যানুলা ব্যবহার হচ্ছে ৩৫টি। সিভিল সার্জন জানান, এখন রোগীর চেয়ে শয্যার সংখ্যা বেশি হওয়ায় অনেক শয্যা খালি আছে। আইসোলেশন সেন্টারেও অনেক শয্যা খালি। তবে সেখানে অন্যরোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন করোনা আক্রান্তদের প্রায় ৮৫ ভাগ বাসায় থেকে সুস্থ হচ্ছেন।
হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট কমে আসলেও করোনা টেস্টে হয়রানি ভোগান্তি এখনও চলছে। এখনও ফলাফল পেতে ১০ থেকে ১৫ দিন লেগে যাচ্ছে। এতে উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার সুযোগ থেকে অনেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ল্যাবের সংখ্যা একটি থেকে সাতটি করা হলেও নমুনার পাহাড় জমেছে ল্যাবগুলোতে। মানুষ ব্যাপক হারে নমুনা দেওয়ায় জটের সৃষ্টি হয়েছে। আবার কিট সঙ্কটের কারণে অনেক ল্যাবে সুযোগ থাকার পরও পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষা করা যাচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন