ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) অধীনে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা দীর্ঘ সাত মাস যাবত বেতন-ভাতা পাচ্ছে না। করোনা মহামারীতে বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় সারাদেশে ১ হাজার ১০টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদভিত্তিক শিশু গণশিক্ষা প্রকল্প থেকে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার বাদ দেয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় দারুল আরকাম শিক্ষক কল্যাণ সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সমাবেশে
দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদাসার প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করে ২ হাজার ২০ জন শিক্ষক পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও দুই লক্ষাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। কেন্দ্রীয় সভাপতি মুফতী জয়নুল আবেদীন এর সভাপতিত্বে আরো যারা বক্তব্য রাখেন তারা হচ্ছে, অর্থ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গোপালগঞ্জী, জসিম উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, আবুল খায়ের নোমানী, শহিদুল ইসলাম, ওসমান গনি, আলমাস হোসাইন, লুৎফর রহমান, নূরুল আলম ও আনোয়ার হোসাইন ।
এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত জানুয়ারি থেকে সাত মাস বেতন-ভাতা না পেয়ে ২ হাজার ২০জন শিক্ষক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পরে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্ধারিত কাউন্টারে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসার প্রকল্প অবিলম্বে অনুমোদন দেয়ার জন্য স্মারকলিপি পেশ করা হয়। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক কৃতি ছাত্র কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল জাকির হোসেন গোপালগঞ্জী। অপর সদস্যরা হলেন প্রখ্যাত আরবি সাহিত্যিক নাজমুল হুদা ও কুদরাতুল্লাহ মাজহারী। স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করে আসন্ন ঈদ-উল-আযহার পূর্বেই শিক্ষকদের দুঃখ-দুর্দশা হতে উদ্ধার করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন