সিলেট অফিস : প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সম্মেলনকে ঘিরে সিলেট বিএনপিতে এখন সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। আড়মোড়া ভেঙে বিএনপির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছেন। সম্ভাব্য পদপ্রার্থীদের পক্ষে নেতাকর্মীরা এখন প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। বিএনপি দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন বেশ ঘটা করেই করা হয়েছিল। বর্তমানে ‘নিখোঁজ’ থাকা ইলিয়াস আলী তখন ছিলেন সিলেট বিএনপির মূলকা-ারি। তার নেতৃত্বে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ইলিয়াস আলী নিজেই সম্মেলনের মাধ্যমে ওই কমিটির সভাপতি হয়েছিলেন। সেই সম্মেলনের প্রায় চার বছর পর এবং ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার প্রায় দুই বছর পর ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল ওই কমিটি ভেঙে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। ওই আহ্বায়ক কমিটিকে ৪৫ দিনের মধ্যে সকল উপজেলা, থানা, পৌরসভার কমিটি করে জেলা সম্মেলন শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও সম্মেলন শেষ করতে পারেনি জেলা বিএনপি।
অন্যদিকে ২০০৫ সালের নভেম্বরে সিলেট মহানগর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে বর্তমানে কারাগারে থাকা সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে সভাপতি ও নাসিম হোসেইনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। ওই কমিটির মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পর বছর খানেক আগে কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে ওই আহবায়ক কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি আহ্বায়ক কমিটি। তবে অবশেষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপিতে সম্মেলনের হাহাকার ফুরাচ্ছে। ৬ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনকে ঘিরে সিলেট বিএনপিতে বইছে উৎসবের আমেজ। পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের অনুসারী নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা যাবে। পরদিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত দাখিল করা যাবে মনোনয়নপত্র। সম্মেলনে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির ১৩২ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন। তন্মধ্যে জেলার অধীনে ৫১ জন এবং মহানগরের অধীনে রয়েছেন ৮১ জন ভোটার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন