করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সেই সাথে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। করোনায় আয় রোজগার না থাকায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তসহ মানুষের অবস্থা অনেকটা নাজুক। বিশেষ করে যারা বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়েছেন। করোনার মধ্যে ঋণ পরিশোধ করা তাদের পক্ষে অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠকর্মীরা ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য গ্রাহকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। কিস্তির টাকা না দিলে তারা অশোভন আচরণ করছে বলে অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় এনজিওর মাঠ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
করোনায় এমন পরিস্থিতিতে গত সাড়ে তিন মাসে সঙ্কটময় অবস্থায় কর্মহীন হয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। দেশের অর্ধেক দরিদ্র পরিবার বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সংসারের চাকা সচল রাখে। এজিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণের কিস্তি চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এরপরও বিভিন্ন বেসরকারি এনজিও সংস্থা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঋণের কিস্তি পরিশোদের জন্য গ্রহকদের চাপ প্রযোগ করছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করা পরিবার। অনেকে ঋণ পরিষদে ব্যর্থ হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রাহকদের এমন অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা সদর ও সান্তাহার পৌর এলাকার এনজিওর মাঠকর্মী বলেন, গ্রাহকদের কোন চাপ প্রয়োগ করা হয়না।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, যারা একান্ত দরিদ্র টাকার সঙ্কট তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করতে পারবে না। যদি কোনো এনজিও জোর করে তবে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলবো যেন এই কাজ থেকে বিরত থাকে। অতপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে এ সঙ্কট মোকাবেলায় এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় বন্ধে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন