ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে মা-বাবা ও শিশু সন্তানসহ একই পরিবারের তিন জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি গত শনিবারে হলেও বিষয়টি গতকাল বুধবার প্রকাশ্যে আসে। বাড়ির মালিক ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার অভিযোগ ওঠার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নিহতরা হলেন- আবুল কাশেম (২৮), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২২) ও ৬ বছরের মাদরাসা পড়–য়া সন্তান আল আমিন। তাদের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার চন্ডীপাশা গ্রামে। নিহত আবুল কাশেম স্থানীয় কন্টিনেন্টাল নামে একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তার স্ত্রী একই এলাকার সাউদার্ন নামে অপর একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিক।
নিহতের আত্মীয় আজিজুল ইসলাম বলেন, এর আগে গত শনিবার ভোরে আশুলিয়ার দূর্গাপুর পূর্বচালা এলাকায় শহীদ হাজীর মালিকানাধীন দুইতলার বাড়ির নিচতলার ভাড়া দেয়া কক্ষে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহতের প্রতিবেশি অটোচালক শহীদুল ইসলাম জানান, গত তিন মাস পূর্বে আবুল কাশেম পরিবার নিয়ে আশুলিয়ার দূর্গাপুর এলাকায় শহীদ হাজীর দুইতলা বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। তারা উভয়ে গার্মেন্টসে কাজ করতো। গত শনিবার ভোরে রান্নার জন্য দিয়াশলাই জ্বালালে হঠাৎ বিকট শব্দে চারপাশ কেঁপে ওঠে আগুন ধরে যায়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আবুল কাশেম, তার স্ত্রী ফাতেমা ও সন্তান আল-আমিনকে দেখতে পায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে স্থানীয়রা।
আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে একই পরিবারের তিন জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনি ঘটনাস্থলে যান। তবে এর আগে ঘটনার দিন তাদের বিষয়টি জানানো হয়নি। কেনো জানানো হয়নি সেটিও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়টি জানা গেলেও তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। এছাড়া বাড়ির মালিক পলাতক থাকায় ওই বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ছিল কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয়। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন