শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা পরীক্ষার ফি প্রত্যাহার চায় টিআইবি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

দেশে যখন কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, ঠিক তখনই শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ফি আরোপ করাকে বৈষম্যমূলক, অমানবিক, দুরভিসন্ধিমূলক ও আত্মঘাতী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংস্থাটি দাবি করেছে যে, সরকারী সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর পরীক্ষা অসচ্ছল জনগোষ্ঠীর সামর্থ্যরে বাইরে চলে গেছে; পরীক্ষার সংখ্যা দৃশ্যমানভাবে কমে গেছে, সেই সঙ্গে কমেছে শনাক্তের সংখ্যাও। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি যেমন বেড়েছে, মহামারি নিয়ন্ত্রণে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থার প্রতিফলন না ঘটার আশঙ্কাও জোরদার হয়েছে। তাই অবিলম্বে আরোপিত ফি প্রত্যাহারের পাশাপাশি কার্যকরভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে কভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা করার সক্ষমতা, পরিধি ও সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশে যখন পরীক্ষার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন হঠাৎ করেই গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষায় ফি আরোপের সিদ্ধান্ত জানায়। সংকটকালে এই অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তে সরকার জনগণকে পরীক্ষা করতেই নিরুৎসাহিত করছে কি না এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য এই পদক্ষেপ বৈষম্যমূলক ও অমানবিক- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তাদের জন্য আরোপিত ফি যৎসামান্য মনে হতেই পারে; কিন্তু যারা এক বেলা নিয়মিত খাবারেরই সংস্থান করতে পারে না, তাদের জন্য এই ২০০ টাকাও বিশাল এক বোঝা। মূলত দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষকে পরীক্ষায় নিরুৎসাহিত করতেই এ সিদ্ধান্ত কি না তা ভাবতে হবে। এমন বৈষম্যমূলক ও অমানবিক সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, মহামারি মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো ফলপ্রসূ হওয়ার পূর্বশর্ত সেগুলো যেন নির্ভরযোগ্য তথ্য-উপাত্তভিত্তিক হয়। অথচ শুরু থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে নানা ধোঁয়াশা তৈরি করা হয়েছে। পৃথিবীর যে কয়েকটা দেশে সবচেয়ে কম পরীক্ষা করা হচ্ছে, দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশ তার অন্যতম। তার ওপর ফি আরোপ করে পরীক্ষার সংখ্যাই কমিয়ে দেওয়া হলো, যাতে পরীক্ষার আওতার বাইরে চলে যাচ্ছেন দেশের একটা বিরাট জনগোষ্ঠী। কভিড সংকট মোকাবিলা কার্যক্রমে তথ্যপ্রবাহের নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই এ ফি আরোপ করা হয়েছে কি না-এই প্রশ্ন ওঠাও অস্বাভাবিক নয়। যে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রকৃত অবস্থা কি, সেটা কোনোভাবেই জানা সম্ভব নয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন