শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঘুষ দিয়ে যাতায়াত

ওয়ারী লকডাউনের পঞ্চম দিন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে (ওয়ারীর একাংশ) কার্যত নামসর্বস্ব লকডাউন চলছে। ডাক্তার, নার্স, সংবাদকর্মী ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অন্য কারোরই এলাকা থেকে বের হওয়ার কথা নয়। কার্যত যারাই ইচ্ছে করছেন, তারাই বের হতে পারছেন। তবে পর্দার আড়ালে গুনতে হচ্ছে টাকা। ঘুষ দিয়েই সাধারণ মানুষ চলাফেরা করছেন।

লকডাউনে দুটি রাস্তা খোলা। সেখান দিয়ে দেদার বের হচ্ছেন মানুষ। গেটে পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা একটু-আধটু বাঁধা দিলেও বের হতে ইচ্ছুক ব্যক্তি একটু ঝাড়ি দিলেই তারা না করছেন না। ফলে নামকাওয়াস্তে লকডাউন চলছে। ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ক্যামেরায় ঘুষ নিয়ে মানুষকে বের হওয়ার একাধিক দৃশ্য ধরা পড়ে। এ সময় ঘুষ গ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবী জানান, তিনি ভুল করে কয়েকজনের কাছে টাকা নিয়েছেন। তার টাকা নেয়া উচিত হয়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবক নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর তিনি বিষয়টি সম্পর্কে ভাল বলতে পারবেন।

লকডাউন চলছে ওয়ারী, টিপু সুলতান রোড, যোগীনগর রোড ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন), লারমিনি স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট, ওয়্যার স্ট্রিট, র‌্যাংকিং স্ট্রিট ও নবাব স্ট্রিটে। ওয়ারী এলাকায় স্থাপিত করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথে যারা নমুনা দিচ্ছেন, তাদের ৫০ শতাংশই করোনা পজিটিভ হিসেবে ধরা পড়ছে। এ অবস্থায় ওয়ারী এলাকার লকডাউন শক্তভাবে পালন করা হবে ঘোষণা দেন ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

কিন্তু ওয়ারীতে লকডাউনের পঞ্চম দিন গতকাল দেখা গেছে একেবারেই ঢিলেঢালা ভাব, আগের তিন দিনের মতোই। এলাকায় একটি ওষুধ কোম্পানির কারখানা চালু আছে। তিন শিফটে কাজ করছেন কর্মচারী-কর্মকর্তারা। বেশিরভাগ কর্মচারী অন্য এলাকার বাসিন্দা। প্রতি আট ঘণ্টা পরপর শ্রমিকরা আসা-যাওয়া করছেন।
ওয়ারীর বাসিন্দারা বলছেন, ওষুধ কারখানার লোকজন প্রতিদিনই বাইরে থেকে আসছেন। আবার অফিস শেষে ফিরে যাচ্ছেন। এলাকার লোকজনকে বাইরে কর্মস্থলে যেতে বাঁধা দেয়া হচ্ছে কেন?

টিপু সুলতান রোডের আবু জাফর জানান, বঙ্গবাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। লকডাউনের প্রথম দু’দিন অনেক অনুরোধ করায় তাকে এলাকা থেকে যেতে দেয়া হয়। গত সোমবার কোনোভাবেই তাকে বের হতে দেয়া হয়নি। পরের দিন থেকে কিছু গুজে দিয়ে তিনি বের হচ্ছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন