পুঠিয়া এলজিইডি অফিসের দুই কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত দুইজন কর্মচারীরা হলেন, পুঠিয়া এলজিইডি অফিসের কমিউনিটি অরগানাইজার আব্দুল মতিন (৫৮) ও কার্য-সহকাররি পারভেজ কামাল (৫৬)। আব্দুল মতিন উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের সমশের প্রাং এর ছেলে এবং পারভেজ কামল রাজশাহী মহানগরের মুন্নাফের মড়োর এলাকার ডাক্তার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলায় করোনায় আক্রন্তের সংখ্যা ২২ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার নাজমা আক্তার জানান, গত ২৭ জুন তাদের নমনা সংগ্রহ করে উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মরীরা তাদের নমুনা সংগ্রহ করে রামেক হাসপাতালে ভাইরোলজি বিভাগে পাঠায়। ১১ জুলাই শনিবার তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বর্তমানে তার তারা বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকবেন। সেখানেই তার চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হবে। করোনায় পজেটিভ আব্দুল মতিন ও পারভেজ কামাল জানান, গত ২৩ জুন বৃহস্পতিবার পুঠিয়া উপজেলা এলজিইডি অফিসের কার্য-সহকারী আব্দুর রহিম তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। সেখানে তার করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। পরে তিনি কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষা করান। পরে তার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। বিষয়টি জানতে পরে উপজেলা এলজিইডি অফিসের সকল সদস্য করোনার নমুনা পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেন। তবে করোনায় আক্রান্ত দুইজনই জানান, তাদের কোন রকম করোনার উপসর্গ শরীরে দেখা দেয়নি। বর্তমানে তার সুস্থ্য আছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওলিউজ্জামান জানান, আক্রান্ত একজনের বাড়ি পুঠিয়ায় হওয়ায় তার বাড়ি বাড়ি লকডাউন করা হবে। অপর জনের বাড়ি রাজশাহীতে হওয়ায় রাজশাহী সিভিল সার্জেন মহাদয়কে বলা হয়েছে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন