প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দলের মনোনয়ন গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগেই, তার দল রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে ফাটল আরও গভীর হচ্ছে। নভেম্বরের নির্বাচনের নিজেদের জেতার সম্ভাবনা বিবেচনা করার জন্য রিপাবলিকান সাংসদরা ট্রাম্পের প্রচারণা থেকে নিজেদেরকে দূরে রেখেছেন।
বর্ণবাদী বক্তব্য এবং কনফেডারেটের মূর্তি অপসারণ, করোনা মহামারীর মধ্যে মাস্ক না পরা থেকে আফগানিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন সেনাদের উপর হামলায় মদদ দচ্ছে রাশিয়া, এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্কিত হয়ে পড়েছে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। এর ফলে তার থেকে ক্রমবর্ধমানভাবে সিনেটরদের বিভক্তি বাড়ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য তার সাড়ে তিন বছরের মেয়াদে এটি একটি বিরল মুহূর্ত। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ট্রাম্প তার অভিশংসন এবং রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে সাবেক বিশেষ পরামর্শদাতা রবার্ট মুলারের তদন্তের মতো ইস্যুতে দলের ঐক্যকে ব্যবহার করেছিলেন।
এ বিষয়ে রিপাবলিকান পার্টির কৌশলবিদ এবং মার্কো রুবিও ও আর-ফ্লার সাবেক সহযোগী অ্যালেক্স কোন্যান্ট বলেছেন, ‘এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ও তার দলের মধ্যে সত্যিকারের মতভেদ রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে অনেক রিপাবলিকানই প্রেসিডেন্টের বিভাজনমূলক কৌশল নিয়ে বিরক্ত হয়েছেন। জনগণ প্রেসিডেন্টের মুখের কথায় আর ভরসা করছে না। এটি কেবল তার প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান সাংসদ বলেছিলেন যে, তারা ফ্লোরিডার জ্যাকসনভিলে পার্টির জাতীয় সম্মেলনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। সেখানে করোনা সংক্রমণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায়, দলের সমর্থক, রাজনীতিবিদ এবং কর্মকর্তারা উভয় সংকটে পড়ে গেছেন। একদিকে, অংশগ্রহণ করলে নিজের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং অন্যদিকে বিরত থাকলে প্রেসিডেন্টের রোষের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা। সূত্র: ইউএসএ টুডে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন