করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরে হঠাৎ করেই কক্সবাজারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কয়েক দফার লকডাউনেও সংক্রমণ রোধ করা যায়নি। এতে করে জেলা প্রশাসন জুনের শুরু থেকে রেড জোন ঘোষণা করে। এছাড়াও কণ্টাক ট্রেসিং করে করোনা সংক্রমণ রোধের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এতে সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিকে ঈদুল আজহা পর্যন্ত হোটেল মোটেল ও পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। গতকাল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিনের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন। তিনি জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর সর্বশেষ একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন।
এতে দেখা গেছে, গত শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্ত ২ হাজার ৯৭৩, সুস্থ ১ হাজার ৬৪২ ও মৃত্যু হয়েছে ৪৭ জনের। এরমধ্যে রোহিঙ্গা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ ও সুস্থ হয়েছেন ১৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ রোহিঙ্গার। এদিকে সংক্রমণের শুরু থেকেই বেশি উদ্বেগ ছিল রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ে। এ উদ্বেগ এবং সতর্কতা থেকেই সেখানে নেয়া হয় নানা ধরণের প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দোজা বলেন, আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার। এতে আইএনজিও এবং এনজিওগুলোকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি। এনজিও কর্মচারীদের সংখ্যা কমিয়ে ক্যাম্পগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়।
এছাড়াও আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২টির মতো ট্রিটমেন্ট ও আইসোলেশন সেন্টার। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার জন্য অত্যাধুনিক দুইটি হাসপাতাল। রোহিঙ্গা ছাড়া স্থানীয়রাও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন