ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের মাধ্যমে পাহাড়ি ঢল হু হু করে প্রবেশ করছে বাংলাদেশে। এতে করে তিস্তা নদী ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ বর্ষা মৌসুমে তিস্তার এটাই সর্বোচ্চ বিপদসীমা বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে রবিবার রাতে তিস্তায় লাল সংকেত জারি করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০ টার পর থেকে পানি কমতে থাকায় রেড অ্যালার্ট প্রত্যাহার করে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। বিকেল তিনটায় পর থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পুর্বাভাস সর্তকীকরন কেন্দ্র জানায়, ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ভারত গজলডোবা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে দেয়ায় সেই পানি হু হু করে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের তিস্তা নদীতে। এতে করে তিস্তা নদী ফুলে ফেঁপে অশান্ত হয়ে উঠছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ২টি উপজেলার ব্যাপক আমনের বীজতলা ও রোপিত আমন চারা পানির নিচে তলিয়ে গেছে । ভেসে গেছে অসংখ্যক পুকুরের মাছ । এদিকে প্রতিনিয়ত তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম আতংক আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে দু’টি উপজেলার মানুষজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় রাতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়। তিনি জানান রবিবার রাতে মাইকিং করে তিস্তা নদীর উজান ও ভাটি এলাকার লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয় ।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় জানান পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা মনিটরিং টিম গঠন করেছি। বন্যা কবলিত মানুষজনের মাঝে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন