রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে প্রাধান্য দিয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ শুরু আজ

প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। আগামী ৭ আগস্ট পর্যন্ত নানা আয়োজনে এ সপ্তাহ পালিত হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাকে (এসডিজি) প্রাধান্য দিয়ে এবছর পালিত হবে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। তাই এ বছর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো : টেকসই উন্নয়নের চাবি-কাঠি’। গতকাল রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন উপলক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এবারের বিশ্বমাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয়টি মূলতঃ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো কার্যক্রমকে টেকসইকরণের মাধ্যমে বিশেষত ১৭টি টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা যা বিশ্বের নীতি নির্ধারকরা ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করবে বলে লক্ষ্যস্থির করেছে সেগুলি অর্জনকে নির্দেশ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জনস্বাস্থ্য ও বিশ্বস্বাস্থ্য) রোকসানা কাদের, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. দীন মো. নূরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ওয়াহিদ হোসেন এনডিসি, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবার পরিচালক ডা. এ বি এম মুজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. এস কে রায় প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর পরিস্থিতি জানতে সম্প্রতি আইসিডিডিআর’বি-এর সমন্বয়ে একটি জরিপ পরিচালিত হয়েছে। খুব শিগগিরই ওই জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। তবে ওই জরিপে দেখা গেছে, দেশে শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোর হার আগের তুলনায় বেড়েছে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার বর্তমানে ৩৭ শতাংশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক হেলথ সার্ভের (বিডিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে এই হার ৫৫ শতাংশ। যা ২০১৪ সালেই অর্জন করেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য শতভাগ অর্জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সপ্তাহ উদযাপন করবে। আগামী ২ আগস্ট ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সপ্তাহের উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া আয়োজন করা হয়েছে পুষ্টি মেলা। ৭ আগস্ট বেলা ১১টায় হোটেল সোনারগাঁও-এ সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা সভা। এছাড়া অনান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, বিটিভি-তে আলোচনা অনুষ্ঠান, মোবাইল ফোনে বার্তা, চারুকলা অনুষদে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনে স্ক্রলিং ইত্যাদি
প্রসঙ্গত, ১৯৮১ সালের মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল কোড অব ব্রেস্ট সাবস্টিটিউট অনুমোদিত হয়। এর পর থেকে মায়ের দুধের প্রতি প্রাধান্য বা গুরুত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে এর বিকল্প পণ্যের প্রচার বন্ধে রেডিও-টেলিভিশন, সংবাদপত্রসহ গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক এই কোডের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সর্বত্র নজরদারি বাড়াতে চালু হয় ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক। পরবর্তী সময়ে এ সংক্রান্ত আরো অনেক কার্যক্রম গৃহীত হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব কর্মপরিকল্পনা বা কার্যক্রম কাজে এলেও নানা কারণে এখন পর্যন্ত অনেক মা দুধের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব সম্বন্ধে তেমন ওয়াকিবহাল নন। বাংলাদেশে ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয়ভাবে এই সপ্তাহ পালিত হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন