ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রান্তি বিনোদন ভাতার নামে সরকারের চার লাখ ২৩ হাজার ৬৭০ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু শোকজ করে দায়িত্ব শেষ করেছেন। অনিয়ম সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে গায়েব করে ফেলা হয়েছে। তবে ওই শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাবে এ আত্মসাতের প্রমাণ রয়ে গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কাঁঠালিয়ার উত্তর আউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মেহেদি হাসান, বাঁশবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মো. মিজানুর রহমান, মধ্যআউরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জেসমিন আক্তার মুকুল, ছিটকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খাদিজা আক্তার, আউরা-জয়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অজিত কুমার নাথ, চেচরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেলিনা খানম, পশ্চিম মহিষকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনিল কৃষ্ণ দাস, ছোনাউঠা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মুকুল আক্তার ও বাঁশবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শাহারুম মিয়া, শ্রান্তি বিনোদন ভাতার নামে অবৈধভাবে সরকারি চার লাখ ২৩ হাজার ৬৭০ টাকা ওঠিয়ে আত্মসাৎ করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মানুযায়ী ৩ বছরে একবার ১৫ দিন ছুটি ভোগকালীন সময়ে মূলবেতনের সমপরিমান টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসেবে উত্তোলন করতে পারবেন। কিন্তু ওই শিক্ষকরা ২০১৯ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কেউ দু’বার, কেউ তিনবার করে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা উত্তোলন করে নিয়েছেন। পরবর্তীতে তারা অনিয়মের প্রমাণ লোপাট করতে শিক্ষা অফিস ও হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে এ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র গায়েব করে ফেলেন। পরে তাদের ব্যাংক হিসাব বিবরণীর মাধ্যমে এ অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ মেলায় গত ১৬ জুন ২০২০ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন খলিফা বদলি হওয়ার পূর্বে শেষ কার্যদিবসে ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শানো নোটিশ দেন। পরে অদৃশ্য কারণে আর কোনো অগ্রগতি নেই অনিয়মের তদন্তে।
এ বিষয় কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষকরা কারণ দর্শানো নোটিশের সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে আত্মসাৎকৃত সরকারি টাকা কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য নোটিশ দেয়া হবে এবং পরবর্তীতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হবে’।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামালকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন