শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নেত্রকোনায় স্ত্রী হত্যায় আটক স্বামী ও শ্যলিকাকে জেলহাজতে প্রেরণ

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২০, ৭:৩৩ পিএম

নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের তারাকুঁড়ি গ্রামের নাসিমা আক্তার (২৬) হত্যাকান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং হত্যাকারী স্বামী মোঃ হাসান আলী (৩৫) ও শ্যলিকা কমলা আক্তারকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার পুলিশ তাদেরকে আদালতের হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের তারাকুঁড়ি গ্রামের মোছাঃ রহিমা আক্তারের বসতবাড়ি সংলগ্ন পুকুরে তার মেয়ে নাসিমা আক্তারের লাশ গত সোমবার ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাসিমার মা রহিমা আক্তার ও তার মেয়ে কলমাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নেত্রকোনা মডেল থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বামী মোঃ হাসান আলীর অবস্থান সনাক্ত করার পর সমন্বিত অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতেই চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে হাসানকে আটক করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান ও কমলা নাসিমা হত্যাকান্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। হাসান ও কমলা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত শুক্রবার রাতে ঘুমন্ত নাসিমা আক্তারকে শ^াসরোধ করে হত্যা করার পর লাশ গোপন করার লক্ষ্যে ওড়না ও গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁশের খুটির সাথে বেঁধে বাড়ির পাশের পুকুরে ডুবিয়ে রাখে। ঘটনার পরদিন শনিবার হাসান বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। সোমবার পুকুরে লাশ ভেসে উঠে।
এ ব্যাপারে নিহত নাসিমার মা মোছাঃ রহিমা খাতুন বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মোঃ আকবার আলী মুন্সী জানান, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধীতে তারা দুজনই নাসিমা হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। তারা আদালতকে জানিয়েছে, নাসিমার চরিত্র খারাপ হয়ে গিয়ে ছিল। একাধিক মানুষের সাতে অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। চোখের সামনেই টাকার বিনিময়ে এসব করতো। তাই তাকে হত্যা করা হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন