সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল আর টানা ভারী বর্ষণে বন্যায় জেলার ৮১টি ইউনিয়নের দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি। জেলার ৩০৫০টি নলকূপ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ১১টি উপজেলার ৪টি পৌরসভায় ২৬৯ আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে কেন্দ্রগুলোতে এ পর্যন্ত ১৩৭৯টি বন্যার্ত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর বন্যার্ত আশ্রয় কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে ৪ লাখ পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট বিতরণ করেছে। ২টি মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি প্রতিনিয়ত সরবরাহ ও ১০টি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করেছে তারা। এছাড়াও উপজেলার জন্য ৩০০টি ল্যাট্রিন ১০ লাখ পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট, ৬০০ কেজি নলকূপ বিশুদ্ধ করার পাউডার প্রস্তুুত রাখা হচ্ছে। বন্যার্ত মানুষের আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ৪০টি টিউবওয়েল স্থাপন করেছে।
জেলার জনস্বাস্থ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কাশেম বলেন, বন্যার কবলে পড়ে অনেক নলকূপ, ল্যাট্রিন ও ঘরের ভিটা পানিতে ডুবে গেছে। সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বন্যার্ত মানুষের সেবায় প্রতিনিয়ত বিশুদ্ধ খাবার পানি, স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন এবং পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ অব্যাহত রাখছে।
ষোল ঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা মো. মাসুক মিয়া বন্যায় কেমন আছেন জানতে চাইলে বলেন, সরকারি ত্রাণ পাচ্ছি এবং পাশাপাশি জেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাড়ি দিয়ে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও দিচ্ছে এবার এই আশ্রয় কেন্দ্রে কোন পানিবাহিত অসুখ হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন