প্রেমের টানে পালিয়ে বিয়ে আতপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও গায়ে আগুন দিয়ে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী ও শ্বাশুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের তিয়ারকান্দি গ্রামে।
জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর (তাতারকান্দা) গ্রামের মৃত আবুল কাশেম এর কণ্যা খোদেজা আক্তার সুমি প্রেমের টানে দুই বছর পূর্বে পালিয়ে তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের তিয়ারকান্দি গ্রামের হাশু মিয়ার পুত্র বিল্লাল হোসেনের (২৫) সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কিছু দিন পর থেকে শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন।
নিহত খোদেজা আক্তার সুমির বড়ভাই কাউসার হোসেন উজ্জল জানান, যৌতুকের জন্য বিল্লাল হোসেন তার বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করিত। ১০ জুলাই বিল্লাল হোসেন যৌতুকের জন্য তার বোনকে মারধর করে। এক পর্যায়ে বোন সুমি আমার বাড়িতে আসার জন্য জামা-কাপড় ব্যাগে গোছানোকালে পেছন থেকে পেট্রোল জাতীয় রাসায়নিক দ্রব্যাদি ছিটাইয়া বিল্লাল হোসেন আগুন ধরাইয়া দেয়। এতে শরীরের ৮০ ভাগ দগ্ধ হয়। এসময় বোনের চিৎকারে আশ-পাশের লোকজন আসিয়া তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বুধবার বিকালে খোদেজা আক্তার সুমি মৃত্যুরবরণ করে। এ ব্যাপারে নিহত খোদেজা আক্তার সুমির বড়ভাই কাউসার হোসেন উজ্জল বাদী হয়ে গত বুধবার তারাকান্দা থানায় ঘাতক স্বামী বিল্লাল হোসেনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তারাকান্দা থানার এস.আই খন্দকার আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে ঘাতক স্বামী বিল্লাল হোসেন (২৫) ও শ্বাশুরী কুলসুম বেগম (৫০)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন