চট্টগ্রামের রাউজানে শত্রুতার আগুণে পুড়ে মারা গেল ৩টি গরু। গুরুতর আহত হয়েছে গোয়াল ঘরে থাকা আরও ২টি গরু।
জানাগেছে, সোমবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বৃন্দাবন বটপুকুরীয়া মকছুদ মঞ্জিলে হযরত মৌলানা শাহছুপী সৈয়দ নজির আহমদ শাহ (র.) মাইজভান্ডারীর মাজারের পূর্ব পাশে তাঁর সন্তান মরহুম সৈয়দ মোহাম্মদ আবু ছালেহর নির্মিত গোয়াল ঘরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দরবার থেকে আওলাদদের উচ্ছেদ এবং ভক্ত বিমুখ করার উদ্দ্যেশ্যে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে গোয়াল ঘর আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
জানাগেছে, ৩টি গবাদিপশু (গরু) জীবন্ত পুড়ে মারা যায়। আরও ২টি গরু গুরুতর আহত হয়। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকার মত ক্ষয় ক্ষতি হয়। এধরনের আগুনে পশুর মত নিস্পাপ প্রাণিকে পুড়ে মারার ঘটনা হতবাক করেছে সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে।
এদিকে ঐ মঞ্জিলের উত্তরসুরি এস এম মহসিন উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন,
বটপুকুরীয়া মকছুদ মঞ্জিলের উপর কেন এই বর্বরতা ? মানবতা আজ কোথায় ? গৃহপালিত প্রাণীগুলোর কি অপরাধ ?
সুত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৭ আগস্ট শবে বরাতের পরের দিন দিবাগত রাতে হযরত মৌলানা শাহছুপী সৈয়দ নজির আহমদ শাহ (র.) মাইজভান্ডারীর শাহজাদা সৈয়দ মোঃ আবু ছালেহকে হত্যার উদ্দেশ্য খুঁজতে আসে কিছু দুর্বৃত্ত। খুঁজে না পেয়ে হামলা, ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে রান্না ঘরে। তখনই আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছিল রান্নাঘর। ঐ সময় হামলায় ৩ জন আহতও হয়।
একইভাবে ২০১৫ সালে খড়ের গাদাতে (কুইজ্জা) দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে দেয়। এদিকে একের পর এক ঘটনা ঘটলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হয়নি একবারও। যার কারণে কিছুদিন পর পর ঐ দরবারে ক্ষতিকারক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। এলাকার মানুষ মনে করেন একটি কামেল অলির মাজার এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ, পাহাড়ী আদিবাসীগন প্রতিনিয়ত এসে আর্জি দেন নিজ নিজ মন বাসনার জন্য, আর সেখানে শত্রুতা করে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে একটি মহল। তাদের মতে মরহুম সৈয়দ আবু ছালেহর পরিবারকে উচ্ছেদ করতে একের পর এক ষড়যন্ত্র।
এঘটনায় মরহুম সৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহর পরিবার স্থানিয় সাংসদ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন