যশোর ব্যুরো : অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে যশোরে প্রতিপক্ষের ছরিকাঘাতে এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও অপর তিনজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে শহরের পুরাতন চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারির পেছনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবলীগ কর্মী মানিক হোসেন (৩২) শহরের কাজীপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আহতরা হলেন, শহরের কাজীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিপন হোসেন (৩৫), একই এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৩) এবং সাতক্ষীরার বাসিন্দা এরশাদ আলীর ছেলে রায়হান হোসেন (৩৪)। এঘটনায় ৬জনকে আটক এবং হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু ও রক্তমাখা প্যান্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রিপন হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে তারা চারজন শহরের পুরাতন চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারির পেছনে অবস্থান করছিলেন। এসময় ৭/৮ জন বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা মানিককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। তখন সাথে থাকা তিনজন ঠেকাতে এলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মানিক মারা যান। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে জাহাঙ্গীরের অবস্থা মারাত্মক। নিহতের বড় ভাই সলেমান হোসেন বলেন, তার ভাই যুবলীগের সক্রিয় রাজনীতি করতেন। পাশাপাশি আসলাম হোসেন নামে এক ডিশ ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। রাতে তারা প্রায়ই শহরের পুরাতন চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাতক্ষীরা ঘোষ ডেয়ারি এলাকায় আড্ডা দিতেন। সন্ত্রাসীরা তার ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
এদিকে, হত্যাকা-ের পর রাতেই ওই এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো, একই এলাকার ইয়াসিন ওরফে কাজল, মো. ডাবলু, হাবিবুর রহমান, মনির হোসেন শেখ, শরিফুল ইসলাম সোহাগ ও হিমেল। যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন বলেন, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মানিক নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। হামলাকারী ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে রক্তমাখা প্যান্ট ও হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন