মহামারী করোনার আঘাতে ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব খাতে ধস নেমেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ১৮৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত থাকলেও আদায় হয়েছে মাত্র ৫৮৩ কোটি ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭৯ টাকা। ঘাটতি রয়েছে ৬০২ কোটি ৯৮ লাখ ২৪ হাজার ৩২১ টাকা।
জানা গেছে, করোনায় গত ২৫ মার্চ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় তিন মাস ভোমরা বন্দরে সকল প্রকার আমদানী-রফতানী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। ফলে রাজস্ব খাতে বড় ধরণের একটি ধাক্কা লাগে। যদিও অনেক দেন দরবারের পর ভারতের সাথে আমদানী রফতানী কার্যক্রম শুরু হয়ে তা চলমান রয়েছে। এদিকে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২০-২১ অর্থবছরে ভোমরা স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানি পণ্য বাণিজ্যের উপর ১ হাজার ২ কোটি ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে। আর চলতি অর্থবছরে পহেলা জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২৬ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৫শ ৯৩ টাকা রাজস্ব অর্জন হয়েছে।
ভোমরা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ এনাম হোসেন জানান, করোনা দুর্যোগেও বন্দর দিয়ে চলমান আমদানি-রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত থাকলে সরকারের বেঁধে দেয়া রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। ভোমরা বন্দরে বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, বন্দর ও কাস্টমসের বিভিন্ন অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, শুল্ক ফাঁকি ও পণ্য খালাসের হয়রানি বেড়ে যাওয়া রাজস্ব ঘাটতির অন্য কারণ।
ভোমরা স্থলবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছিলো ৫৮৩ কোটি ৩৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ঘাটতি ছিল ৬০২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। ওই অর্থবছরে ভারত থেকে আমদানি পণ্যের পরিমাণ ছিল ২৫ লাখ ১৬ হাজার ১৬৭ মেট্রিক টন। আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের পহেলা জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ৩৯৯ মেট্রিক টন পণ্য। এসব আমদানি পণ্যের ওপর রাজস্ব অর্জিত হয়েছে ২৬ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৩ টাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন