বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উপসর্গে মৃত্যু ৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর জেলায় করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তো বাড়ছেই। কমার কোন লক্ষণ নেই। গতকাল আরো ৪১ জনসহ মোট ১ হাজার ৪৬০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু ২০জন ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন আরো ৩১জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য যশোর সিভিল সার্জন ও হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া।
এদিকে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেণ্টারে গতকাল করোনার টেস্টের ফলাফলে ৭৬ জনের কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। যবিপ্রবি সূত্র জানায়, যশোরের ১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের, মাগুরার ৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের, সাতক্ষীরার ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের ও বাগেরহাটের ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে। যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৮৯ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য জানান, রাজশাহী বিভাগে করোনাভাইরাসে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত মঙ্গলবার বিভাগের রাজশাহী ও রংপুর জেলায় তারা মারা যান। গতকাল গতকাল তিনি জানান, মঙ্গলবার বগুড়ায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর রাজশাহীতে মারা গেছেন একজন। বিভাগে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ১৪১ জনে দাঁড়াল। এর মধ্যে বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৮৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া রাজশাহীতে ১৯ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২ জন, নওগাঁয় ১৩, নাটোরে ১, জয়পুরহাটে ২ জন, সিরাজগঞ্জে ১০ জন এবং পাবনায় ৯ জন মারা গেছেন।
মঙ্গলবার বিভাগে নতুন ২১২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭১ জনের বাড়ি রাজশাহী। এছাড়া নওগাঁর ২ জন, নাটোরের ১ জন, জয়পুরহাটে ৪ জন, বগুড়ার ৮৪ জন, সিরাজগঞ্জের ৪৭ জন এবং পাবনার ৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৮৯ জন।
এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩১১ জন শনাক্ত হয়েছেন বগুড়ায়। এছাড়া রাজশাহীতে ২ হাজার ৩৫১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১৮, নওগাঁয় ৮৪১, নাটোরে ৩৮৭, জয়পুরহাটে ৬৫৫, সিরাজগঞ্জে ১ হাজার ১৩০ জন এবং পাবনায় ৬৯৬ জন শনাক্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিভাগে সুস্থ হয়েছেন ২৬৪ জন। এদের মধ্যে ২০২ জনেরই বাড়ি বগুড়া। এছাড়া রাজশাহীর ৩ জন, নওগাঁর ১৭ জন, নাটোরের ১৪ জন, জয়পুরহাটের ৫ জন, সিরাজগঞ্জের ৯ জন এবং পাবনার ৭ জন সুস্থ হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৬ জন।
এর মধ্যে রাজশাহীর ৭৬৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৩৪ জন, নওগাঁর ৬১২ জন, নাটোরের ১৪৪ জন, জয়পুরহাটের ১৯৫ জন, বগুড়ার ২ হাজার ৩৯৬ জন, সিরাজগঞ্জের ৩০৩ জন এবং পাবনার ৩০৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। রাজশাহী বিভাগে এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ৯২ জন কোভিড-১৯ রোগী।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা সরকারী হিসেবে ৫ হাজার অতিক্রম করে আরো ৭২ যোগ হল। মৃত্যুর সংখ্যাও একশ ছুতে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালী ও বরগুনার দুজন কোভিড রোগী বরিশাল শের এ বংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। এ অঞ্চলে গতকাল দুপুর পর্যন্ত ৫ হাজার ৭২ জন আক্রান্তের বিপরীতে ৯৭ জনের মৃত্যুর কথা সরকারীভাবে বলা হয়েছে। এরমধ্যে চলতি মাসের ২২ দিনেই ২ হাজারের ওপর আক্রান্ত ও ৩৬ জনের মৃত্যু হল। তবে গতকাল দুপুর পর্যন্ত আরো ৯৬ জন সহ মোট ২ হাজার ৭০৫ জনের সুস্থ হয়ে ওঠার কথাও বলেছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিনাঞ্চলে নতুনকরে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হলেও বরিশাল জেলার পরিস্থিতি উন্নতির কোন লক্ষন নেই। ১৭ জুলাই’র পর থেকে প্রতিদিনই বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল ও বরগুনার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বরিশালে ১৭ জুলাই আক্রান্ত ২৬ থেকে ৪৪-এ উন্নীত হয়েছে বুধবাার। এ জেলায় আক্রান্ত ও মৃতের সিংহভাগই মহানগরীতে। জেলায় এ পর্যন্ত ২হাজার ২১১ আক্রান্তর বিপরীতে মারা গেছেন ৩৭ জন। যারমধ্যে মহানগরীতেই ১৮শর ওপরে আক্রান্ত ও অন্তত ২৩ জন মারা গেছেন। তবে এ জেলায় গতকাল পর্যন্ত আরো ৫৫ জন সহ মোট ১ হাজার ১৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বরগুনাতও আগের দিনের এক জনের স্থলে গত গতকাল ১৪ জন নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। এসময়ে জেলার বামনা উপজেলায় ৭০ বছর বয়স্কা এক নারী শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেছেন। এনিয়ে জেলাটিতে ৫২৬ জন আক্রান্তের বিপরিতে ১১ জনের মৃত্যু হল। জেলাটিতে গতকাল নতুন ৯ জনসহ মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭৬ জন। ঝালকাঠীতে আগের দিন কোন আক্রান্ত না থাকলেও গতকাল নতুন করে দুজনের কোভিড-১৯ সনাক্ত হয়েছে। ছোট এ জেলায় এপর্যন্ত ৪০৫ আক্রান্তের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। জেলাটিতে গতকাল নতুন কারো সুস্থ হয়ে ওঠার খবর দিতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২০২।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ৭০বছর বয়স্কা এক নারী শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তবে জেলাটিতে গতকাল আক্রন্তের সংখ্যা আগের দিনের ২৪ থেকে ১২’তে হৃাস পেলেও মোট ৯০৫ জন আক্রান্তের বিপরিতে মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আর গতকাল নতুন করে ২৭ জন সহ জেলায় মোট সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যা ৪৬৪। ভোলাতেও আগের দিনের ১৫ জনের স্থলে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ জনে হ্রাস পেয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৪৬৭ জনের বিপরিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আর গতকাল নতুন ৪ জন সহ মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ৩২২।
পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ২০ থেকে গতকাল একজনে হ্রাস পেয়েছে। ১৮ জুলাইর পরে এ জেলায় কোন মৃত্যু নেই। তবে গতকাল দুপর পর্যন্ত জেলাটিতে মোট ৫৪৮ জন আক্রন্তের বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। নতুন ৯ জন সহ গতকাল পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২৬৮ জন।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরো একজনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। এসময়ে ওয়ার্ডটি থেকে ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন। করোনা ওয়ার্ডেও নতুন ৫ জনকে ভর্তি করা হলেও ছাড়া পেয়েছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত হাসপাতালটির এ দুটি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত ১ হাজার ৬৩ জনের মধ্যে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৮১৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হলেও মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫১জন।
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ১২৫ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তি (৬০) সোনারগাঁয়ের পিরোজপুরের বাসিন্দা। অন্যদিকে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৭ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৭৯ জন। গতকাল গতকাল সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুর আরো ১৮জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫৩৭জন। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭১ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে হাইমচরে ২জন, মতলব উত্তরে ১৪জন এবং মতলব দক্ষিণে ২জন।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল সকালে ২৮টি রিপোর্ট আসে। এর মধ্যে ১৮টি পজেটিভ। ১০টি নেগেটিভ। জেলায় ১ হাজার ৫৩৭জন করোনা আক্রান্ত রোগীর উপজেলাভিত্তিক পরিসংখ্যান হচ্ছে; চাঁদপুর সদরে ৫৭৪জন, মতলব দক্ষিণে ১৭১জন, শাহরাস্তিতে ১৫৭জন, হাজীগঞ্জে ১৫১জন, ফরিদগঞ্জে ১৭৫জন, হাইমচরে ১১৬জন, কচুয়ায় ৬৯জন এবং মতলব উত্তরে ১২৪জন।
চাঁদপুর জেলায় করোনায় মৃত ৭১জনের মধ্যে চাঁদপুর সদরে ২০ জন, হাজীগঞ্জে ১৭জন, ফরিদগঞ্জে ৯জন, কচুয়ায় ৬ জন, মতলব উত্তরে ৯জন, শাহরাস্তিতে ৬জন, মতলব দক্ষিণে ৩জন এবং হাইমচরে ১জন।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ১ হাজার ৩শ’ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ স্বাস্থ্যকর্মীসহ ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩০৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৯৮ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮৫ জন । গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ২৪ জন। মুকসুদপুরে আতœহত্যা করেছে ১ করোনা রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ জেলা থেকে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ৭৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিলো। এর মধ্যে নতুন করে ৩০ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ৮ জন, কোটালীপাড়ায় ৫ জন, কাশিয়ানীতে ৪ জন ও মুকসুদপুরে ৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়িসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেণ্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৬৮৩০ টি নম‚না পরীক্ষা করা হয়েছে।এর মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ৪১৫ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২১৭ জন, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২০২ জন, কাশিয়ানীতে ২৩৪ জন ও মুকসুদপুরে ২৪০ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক , নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন ১০২ জন।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রতিদিন যেমন এই রোগের ভয়াবহতা বাড়ছে, তেমনি মৃত্যুর মিছিলে শরীক হচ্ছে ব্যাবসায়ী, সরকারী-বেসরকারী চাকরীজীবী ও সাধারণ মানুষ। এদিকে গতকাল নতুন করে জেলায় আক্রান্ত হয়েছে ১৮ জন ।এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৬৮২ জন ১ করোনায় আক্রান্ত হয়ে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা বিপুল কুমার গাঙ্গুলী (৫৩) মারা গেছেন। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপা কৃষি ব্যাংক শাখায় কর্মরত ছিলেন। গতকাল ভোর ৫টার দিকে বিপুল কুমার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিজয়পুর গ্রামের বাসুদেব গাঙ্গুলীর ছেলে। এই নিয়ে ঝিনাইদহে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ১৫। শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা বিপুল কুমার গাঙ্গুলীর করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তিনি রক্ত পরীক্ষা করান। গত ১৯ জুলাই তার ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর তাকে ঝিনাইদহ করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শারিরীক অবস্থাার অবনতি ঘটলে মঙ্গলবার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থাায় গতকাল ভোরে মৃত্যুবরণ করেন।
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা জানান, নওগাঁয় ২ ব্যাংক কর্মকর্তা নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা দু’জনই ইসলামী ব্যাংক মান্দা শাখায় কর্মরত। এদের একজন মান্দা উপজেলার এবং অন্যজন ধামইরহাট উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে নওগাঁ জেলায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ালো ৮৪১ জন-এ।
রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাউজানে আরও ১৫ জনের শরীর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল গতকাল সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে এ তথ্য জানা যায়। সুত্র আরো জানায়, রাউজানে এ পযন্ত নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১০২। এরমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩৪৫ জন। উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। সুস্থ হয়েছেন ১৫০ জন।
কুমিল্লা : কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের কভিড-১৯ ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, মারা যাওয়া তিনজন জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি ছিলেন। এর মধ্যে দুজন আইসিইউতে এবং একজন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিনজন হলেন- কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চিনু রানী (৫০), নাঙ্গলকোট উপজেলার ফকরুল ইসলাম (৫৫) এবং নোয়াখালী সদর উপজেলার তাহের আহমেদ (২৯)।
সাতক্ষীরা : করোনাভাইরাস উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও গতকাল সকালে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ওবায়দুরনগর গ্রামের আছিরউদ্দিন মোড়লের ছেলে আব্দুর রহিম (৭০), একই উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর গ্রামের নিতাই চন্দ্র মন্ডলের ছেলে সুভাষ চন্দ্র মন্ডল (৬৫) ও দেবহাটা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আলকার কবীর(৫০)।
হিলি : হিলিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির নেতা ছিলেন। গতকাল সকালে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন