শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রেমডেসিভির রফতানি করছে বেক্সিমকো ফার্মা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিশ্বের অনেক দেশে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা বা বিপিএল) জেনেটিক ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদন ও অ্যান্টি-ভাইরাল রেমডেসিভির (ব্র্যান্ডের নাম বেমসিভির) ইনজেকশন রফতানি করছে। আজারবাইজান, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং ভেনিজুয়েলাসহ বেশ কয়েকটি দেশের হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে এই ইনজেকশন।
মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গিলিয়াড সায়েন্সেস দ্বারা উৎপাদিত রেমডেসিভির একটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ যা সরাসরি ভাইরাল আরএনএ প্রতিরোধে কাজ করে এবং মার্কিন এফডিএ গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই ড্রাগটিকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।

গত ২১ মে ডিজিডিএ’র কাছ থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে রেমিডেসিভি’র জেনেরিক তৈরি শুরু করে। ওষুধের জেনেরিক তৈরির প্রবর্তনকারী হিসেবে বিশ্বে প্রথম রেমডেসিভির উৎপাদন করে বাংলাদেশ। সংস্থাটি বিনামূল্যে সরকার নির্ধারিত কোভিড-১৯ চিকিৎসায় পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে রেমডেসিভির সরবরাহ করে আসছে। এক বোতল রেমডেসিভিরের দাম হচ্ছে ৫৫ ডলার থেকে ৬৫ মার্কিন ডলার। করোনা রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে এই ওষুধ ৬ থেকে ১১ বোতল প্রয়োজন হয় প্রত্যেক রোগীর।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, দেশে উৎপাদিত রেমডেসিভির দ্বারা বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের রোগীদের জীবন বাঁচাতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির উৎপাদন করে এই ওষুধটি মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশের রোগীদের কাছে স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছি।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রতিক্রিয়া হিসেবে এরই মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মা করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সংস্থাটি বর্তমান মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সম্ভাব্য সকল উপায়ে বেক্সিমকো ফার্মা এর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক গবেষণা, উন্নয়ন ও উৎপাদনে মনোনিবেশ করেছে। বেক্সিমকো ফার্মা ইতোমধ্যে সম্ভাব্য চিকিৎসার জন্য অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাবির (ব্র্যান্ডের নাম ভিরাফ্লু) চালু করেছে। পাশাপাশি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘অ্যান্টিমালারিয়াল ড্রাগ হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইন (ব্র্যান্ডের নাম কোভিসিন) এবং অ্যান্টিপ্যারাসাইটকি ইভারমক্টেনি (ব্র্যান্ডের নাম ইভেরা) উৎপাদন করছে’।

বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালসের শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই সংস্থার ৫০টিরও বেশি দেশে নিজেদের তৈরি ওষুধ রফতানি করছে। ইউএস এফডিএ, মাল্টা মেডিসিন কর্তৃপক্ষ (ইইউ), টিজিএ (অস্ট্রেলিয়া), হেলথ কানাডা, জিসিসি (উপসাগরীয়) এবং টিএফডিএ (তাইওয়ান) সহ শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমোদিত।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৩ জুলাই, ২০২০, ১০:৫৬ পিএম says : 0
বিশ্বের অনেক দেশে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (বেক্সিমকো ফার্মা বা বিপিএল) জেনেটিক ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য উৎপাদন ও অ্যান্টি-ভাইরাল রেমডেসিভির (ব্র্যান্ডের নাম বেমসিভির) ইনজেকশন রফতানি করছে। এটা বাংলাদেশের জন্যে অনেক বড় একটা সুখবর। বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালসের শীর্ষস্থানীয় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থার ৫০টিরও বেশি দেশে নিজেদের তৈরি ওষুধ রফতানি করছে। গত ২১ মে অনুমোদন পাওয়ার পর থেকে বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে রেমিডেসিভি’র জেনেরিক তৈরি শুরু করে। সংস্থাটি বিনামূল্যে সরকার নির্ধারিত কোভিড-১৯ চিকিৎসায় পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে রেমডেসিভির সরবরাহ করে আসছে। এক বোতল রেমডেসিভিরের দাম হচ্ছে ৫৫ ডলার থেকে ৬৫ মার্কিন ডলার। সালমান এফ রহমানের পরিবার হচ্ছেন বেক্সিমকো ফার্মার মালিক। এরা দেশের জনগণের কল্যাণে বিনামূল্যে এই করোনা ভাইরাসের ইনজেকশন সরকারকে সরবরাহ করছে সাথে সাথে ১৩টি দেশেও রফতানী করেছে এটা আমাদের জন্যে অবশ্যই গর্ভের বিষয়। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের সকল ব্যাবসায়ীদেরকে জনগণের কল্যাণে কাজ করার ক্ষমতা প্রদান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন