শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মুজিববর্ষে সবার জন্য নিশ্চিত করতে চাই ঘর : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

কক্সবাজার জেলায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু এখানে বলে না, সারা বাংলাদেশেই আমরা কোথায় গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ আছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

গতকাল করোনা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত ২০টি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়া ভবনগুলোতে ফ্ল্যাট পেয়েছেন ৬০০টি পরিবার। এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে নির্মিত পাঁচতলা ২০টি ভবনসহ প্রকল্পের মোট ১৩৯টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি পাঁচতলা ভবনে থাকছে ৪৫৬ বর্গফুট আয়তনের ৩২টি করে ফ্ল্যাট। সবগুলো ভবন নির্মিত হলে উদ্বাস্তু জীবনের অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ ছেড়ে সাজানো পরিপাটি দালানে উঠবেন মোট প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার। ১০০১ টাকা নামমাত্র মূল্যে এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হবে। খুরুশকুলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫৩ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা এ বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পকে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। প্রত্যেকটা মানুষকে আমি যেভাবে পারি গরিবানা হালে হলেও একটা চালা করে দিলেও সেটা আমরা করে দেব। এটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন ঘর করে দিচ্ছি পাশাপাশি যাদের জমি আছে তাদের ঘর করে দেওয়ার জন্য গৃহায়ণ তহবিল নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা তহবিল করা আছে সেখান থেকে যেকোনো প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে ঘর করতে পারে। আর আমরা নিজেরাও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমেও যাদের জমি আছে, ভিটা আছে কিন্তু ঘর নেই তাদের ঘর করে দিচ্ছি।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার একটু বন্যার প্রকোপটা বেশি দেখা যাচ্ছে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসের দিকে আরও পানি আসবে। অর্থাৎ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে।

বন্যায় ও নদীভাঙনে যারা গৃহহারা হচ্ছেন তাদেরও ঘরবাড়ি করে জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাজেটে আমরা আলাদাভাবে টাকাই রেখে দিয়েছি গৃহহীন মানুষের ঘর করে দেওয়ার জন্য। যাতে একটি মানুষও গৃহহারা না থাকে। কক্সবাজারকে পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজার হচ্ছে আমাদের একটা পর্যটন এলাকা। কক্সবাজারকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে চাই একটা পর্যটন শহর হিসেবে।

উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। এতদিন বস্তির ঝুপড়ি ঘরে কষ্টের জীবন শেষে দালানে উঠতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে দেন তারা। এ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান উপকারভোগীরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যারলয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কক্সবাজার প্রান্তে উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।###

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
জাহিদ খান ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 1
এক মাএ আমাদের সম্মানিত মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেখিয়েছেন কিভাবে করোনা মহামারী সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়
Total Reply(0)
Abdul Hai ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 0
আমার ও আমাদের একটি অভিযোগ আপনার মাধ্যে সুরাহা চাচ্ছি । আমাদের ছেলে-মেয়ে বেশ কয়েকমাস যাবত স্কুল যাচ্ছে না? কিন্ত আজ কয়েকটাদিন যাবত স্কুল থেকে ফোন দিচ্ছে বেতন দিবার জন্য, এটা কেমন আবদার ! আমার যারা বেসরকারি চাকরী করতাম,আমাদের প্রায় জনের , চাকরী আছে, কিন্তু বেতন নাই। অনেক কষ্টকরে জীবন পাড় করছি। স্কুলের এমন আচরন,আমরা,,,,!!!??? আপনার মাধ্যেমে এর একটা সমাধান চাচ্ছি ।
Total Reply(0)
MD Ripon ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:৪৯ এএম says : 1
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে।।
Total Reply(0)
Abu Bakar ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 1
শেখ হাছিনার চাইতে ভালো সরকার বাংলাদেশে আর কোন দিন আসবেনা জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় শেখ হাসিনা শাবাস ।
Total Reply(0)
Rabindra Dash ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 1
Incredible ,real helping hand.May god keep you safe and secured always.Excellent decision .
Total Reply(0)
Mustafizur Rahman ২৪ জুলাই, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 1
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি, কিন্তু এর সুফল কি সবার কাছে পৌঁছবে?
Total Reply(0)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ২৪ জুলাই, ২০২০, ৮:০৯ এএম says : 1
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরাশক্তির কাতারে যেতে বেশি দিন লাগবে না। দেশের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা জন্যে বঙ্গবন্ধুর কন‍্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী যুগান্তকারী ইতিহাস সৃষ্টি করলেন। কল্পনা নয় দৃশ্যমান বাস্তবতা হাজার শত মানুষের জন্যে পরিকল্পিত ফ্লাটবাড়ী আবাসন ব‍্যাবস্থা মুজিববর্ষের উপহার। বিশ্ব মানবতার মা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী আপনাকে হাজার শত সহস্র সালাম আর সালাম বাংলাদেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষের আন্তরিক দোয়া সম্মান মর্যাদা প্রশংসা ইতিহাসে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল থাকবে ইনশাআল্লাহ। ভাল কাজ করা যায় না আল্লাহর সাহায্য রহমত না থাকলে। মহান রাব্বুল আল আমিনের পবিত্র দরবারে আপনার শারীরিক সুস্থতা দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আমিন। কায়মনুবাক‍্যে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি বঙ্গবন্ধুর শহীদি পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা সম্মান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ সম্পদ বঙ্গবন্ধু কন‍্যা আপনাকে। মুজিববর্ষের বাংলাদেশ হউক শান্তির উন্নয়ন অগ্রগতির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বের রোল মডেল অর্থনীতিক পরাশক্তির বাংলাদেশ হোক। আবারো সালাম।
Total Reply(0)
Miah Adel ২৪ জুলাই, ২০২০, ৪:০১ পিএম says : 0
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সংলগ্ন ঝলমলিয়াতে দুটা পরিবারের বসতবাড়ীকে ধংসের পথে ঠেলে দিয়েছেন নাটোরের এম পি-র মামা যিনি হলেন উক্ত এলাকার হাইওয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্যানেল খননের ঠিকাদার। ক্যানেলের সম্মুখে পড়েছে স্থানীয় একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির একটা কোল্ড ষ্টোরেজ যা তেমনটা ব্যবহার হয়ে থাকে না কারণ এর পেছনে একটা নূতন কোল্ড ষ্টোরেজ রয়েছে। ক্যনেল খনন এখন বন্ধ। খননকৃৃত অংশে পানি জমে নিষ্কিাশনের পথ বন্ধের দরুণ পানি ফুলেফেঁপে বাড়ী-ঘরে প্রবেশ করছে ও পাড়ি ভেংগে ফলমূলের গাছপালা ধংস করছে। চাকুরী থেকে অবসরপ্রাপ্ত এই দুটা পরিবার কোনমতে পেনশনের টাকায় সংসার চালায়। পানি নিষ্কাশনের পথ খোলাসা না করলে পরিবার দুটোকে পথে বসতে হবে। স্থানীয় পুঠিয়া উপজেলার ইনজিনীয়ার ও টি এন ও-কে বারংবার বলেও কোন ফল হয় নি। এই বসতবাটী দুটাকে রক্ষার জন্য আপনার সুদৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে যেহেতু আপনি দেশের একটি মানুষকেও ঘরছাড়া না হওয়াতে বদ্ধপরিকর।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন