বগুড়ার সান্তাহারে মাদকাসক্তরা ‘টাপেন্টাডল ট্যাবলেট’ সেবনের মাধ্যমে নেশা করছে। আর এই ট্যাবলেট হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। শহর ও শহরতলীর ফার্মেসীতে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই সহজেই পাওয়া যায়। বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। জানা গেছে, মাদকাসক্তরা হেরোইন, ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসাবে কম খরচে টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবন করছে। সন্ধ্যা নামলেই উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকদের ফার্মেসীর সামনে ভিড় করতে দেখা যায়। এতে করে সান্তাহার শহরসহ পাশ্ববর্তী এলাকায় দিন দিন মাদকাসক্তদের সংখ্যা বড়ছে। আর এই সুযোগে এক শ্রেণীর ওষুধ ব্যবসায়ী আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে টাপেন্টাডল ট্যাবলেট দোকানে মজুদ করছে।
জানা গেছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এক শ্রেণীর ফার্মেসীতে ২০ টাকার টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এই ট্যাবলেট বিক্রি করে রাতারাতি কেউ কেউ পকেট ভারি করছে। অপরদিকে তরুণ-যুব সমাজ যাচ্ছে রসাতলে। গত ৮ জুলাই ব্যথানাশক এই ট্যাবলেট মাদকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের তফসিলভুক্ত করা হয়েছে। এটিকে ‘খ’ শ্রেণীর মাদকদ্রব্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সান্তাহার নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিন বলেন, মাদকসেবনকারীদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। নেশার ট্যাবলেটে অনেক পরিবার অশান্তি নেমে এসেছে। ট্যাবলেটের টাকার জন্য বেড়েছে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ।
বগুড়া ওষুধ প্রশাসনের সহকারি পরিচালক আহসান হাবীব ইনকিলাবকে বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া টাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন আলম বলেন, সমতিরি সকল সদস্যকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ জাতীয় ওষুধ বিক্রি থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। তারপরও কেউ যদি বিক্রি করে তার দায়-দায়িত্ব তাদেরকেই বহন করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন