মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনাত্তোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সুবিধা নিতে নীতির সংস্কার দাবি

ওয়েবিনারে ব্যবসায়ীরা রপ্তানি বাজার বহুমুখিকরণে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে : তোফায়েল আহমেদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে টিকে থাকতে ব্যবসা পরিচলনার সব সূচকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য উন্নতি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজনেস ইনিশিয়েটিভ ফর লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)-এর চেয়ারপার্সন আবুল কাসেম খান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। আবুল কাসেম খান বলেন, চীন সম্প্রতি বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে, যেটা আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এবং এটাকে আমাদের কাজে লাগতে হবে। তিনি বলেন, দেশের ওয়ারহাউজ এবং লজিস্টিক খাতকে ‘থ্রাষ্ট সেক্টর’ হিসেবে ঘোষণারও প্রস্তাব করেন।

গতকাল শনিবার রিসারজেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ‘করোনার সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য: বাংলাদেশে-এর প্রভাব এবং উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্যে বিল্ড’র চেয়ারপার্সন আবুল কাসেম খান এসব কথা বলেন। ওয়েবিনারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশি পণ্যে ও রপ্তানি বাজার বহুমুখিকরণ করতে হবে, এক্ষেত্রে বেসরকারীখাতের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তোফায়ল আহমেদ বলেন, করোনার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং তার প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও এসেছে। তিনি চীনের বাজারে বাংলাদেশের ৮ হাজার ২৬৫টি পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। যার মাধ্যমে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রফতানি আয় অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সরকার কয়েক দফায় প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব এবং সরকারের পক্ষ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তিসহ খাতসহ ৩৭টি পণ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ দেয়া হয়েছে।

আয়োজিত ওয়েবিনার ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ। মূল প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ^ব্যাংক ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যথাক্রমে ৩ শতাংশ ও ২ দশমিক ১ শতাংশ -৩ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যাওয়ার প্রাক্কলন করেছে, অন্যদিকে এডিবি মনে করে বর্তমান পরিস্তিতিতে বৈশি^ক জিডিপি ৫ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন হতে ৮ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যেতে পারে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশে^র বেশ কিছু বড় কোম্পানি চীন থেকে তাদের কারখানা এবং ক্রয়াদেশ সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে, যেটি আমাদের দেশের জন্য বড় সুযোগ এবং এ ধরনের সুযোগ নিতে আমাদের কার্যকর উদ্যোগ এখনই নিতে হবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বন্দর হতে মাল খালাসের ধীরগতির কারণে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বাড়ছে, ফলে আমরা প্রতিনয়তই বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাচ্ছি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসির উপর আরো গুরুত্ব দেন এবং এফটিএ, পিটিএ ও টিকফা প্রভৃতি চুক্তির দ্রুততম বাস্তবায়নের আহ্বান জানান ডিসিসিআই’র সভাপতি।

এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর ফেলো প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এনার্জীপ্যাক গ্রুপ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ, ডিজিকন টেকনোলোজিস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং-এর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, পলিসি এক্সেচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ এবং উত্তরা মটরস্ লিমিটেড-এর হেড অব বিজনেস প্ল্যানিং নাইমুর রহমান অনুষ্ঠানে নির্ধারিত আলোচক হিসেবে অংশ নেন। এছাড়া মুক্ত আলোচনায় এমসিসিসিআই সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবীর, চট্টগ্রাম ষ্টক এক্সেচেঞ্জ-এর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, পিআরআই’র চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এবং প্রাক্তন পরিচালক ব্যারিষ্টার সামির সাত্তার প্রমুখ অংশ নেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন