তিতাস উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৬ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার ও গত রোববার উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামের খন্দকার বাড়িতে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গ্রামের উত্তর পাশের খাল দিয়ে বালু ভর্তি ভোলগেট চলাচলে মহেমেন খন্দকার পুকুর পাড়ের ক্ষতি হয় বলে তার ছেলে ইমন বাঁশ দিয়ে বেড়া দেয়। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রাসেল মিয়া ইমনকে বেড়া খুলে দিতে বললে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ ঘটনায় গতকাল সকালে এক বিচার বসে। এতে উভয় পক্ষের জবানবন্দি শুনে ইমনের ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ইউপি সদস্য রাসেল মিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলা হয়। তখন রাসেল বলে, আমার এক লাখ চব্বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে তার কি হবে? এমন কথা বলার সাথে উভয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- মহেমেন খন্দকার, মাহাবুব খন্দকার, ইমন, রাসেল মেম্বার, জিলানী ও সারওয়ার ভূঁইয়া। এ ব্যাপারে মহেমেন খন্দকারের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, বিচার শেষে রাসেল মেম্বারসহ তার লোকজন আমার স্বামী ও ভাসুরের ওপর হামলা করে এবং আমাদের বিল্ডিংয়ে ভেতর প্রবেশ করে লুটপাট করে। রাসেল মেম্বার বলেন, ইমন বালুর বোর্ড থেকে ৫শ’ টাকা করে চাঁদা ওঠায় আমি খবর পেয়ে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার শার্টের পকেটে থাকা ১ লাখ চব্বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন