শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

দেশে কোনো আইএস নেই -বিমানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সভাপতি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, দেশে কোনো ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেই, হামলাকারী জঙ্গিরা বিএনপি-জামায়াতের।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে জঙ্গিবাদ ও সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা বেগম খালেদা জিয়া জঙ্গিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছেন জঙ্গিদের কেন পেছন থেকে গুলি করা হলো? আর এতেই বোঝা যায় জঙ্গিদের লালনকারী কারা।
মন্ত্রী মেনন বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের প্রতিষ্ঠাতা বেগম জিয়া, তারেক রহমান, নিজামী ও মোজাহিদরা। বাংলা ভাই সৃষ্টির মধ্য দিয়ে তারাই যে এ দেশে জঙ্গিবাদী রাজনীতির প্রচলন করেছিলেন সে কথা দেশের জনগণ ভুলে যায়নি।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ারা এখনো জঙ্গিবাদী রাজনৈতিক শক্তির ওপর নির্ভর করে তাদের ক্ষমতার স্বপ্নের জাল বুনছেন। আজকে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের আক্রমণের পেছনে যে মাস্টার মাইন্ড কাজ করছে তা সা¤্রাজ্যবাদী পরিকল্পনা। আর তাদের হাত হিসেবে কাজ করছে জামাত-বিএনপির রাজনীতি।
পর্যটন মন্ত্রী বলেন, ধরা পড়া জঙ্গিদের পেছনের রাজনৈতিক পরিচয় জামায়াত-শিবির। জেএমবি, হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরির, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম। সব জঙ্গি সংগঠনের গোড়ায় কাজ করছে জামায়াত ও সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি।
তিনি বলেন, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ১৪ দলসহ যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তাকে আরো তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে। চিরতরে জঙ্গিবাদকে উৎখাত করতে হলে এ ঐক্য ধরে রেখে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, পলিটব্যুরো সদস্য বিমল বিশ্বাস ও নগর কমিটির সভাপতি আবুল হোসাইন।
সভায় ঘোষণা পাঠ করেন পলিটব্যুরো সদস্য নুর আহমদ বকুল। সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য দীপঙ্কর সাহা দীপু।
ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, আমাদের মৌলিক সাহসের ভিত্তি আমাদের ’৭২-এর ৪ মূলনীতির সংবিধান। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা বীরের জাতি হয়েছি। তিনি বলেন, আজকে মৌলবাদ সাময়িক বিষফোঁড়া হিসেবে উপস্থিত হয়েছে। এই বিষফোঁড়া তৈরি করেছে সা¤্রাজ্যবাদী যুদ্ধবাজ গোষ্ঠী। আমরা ‘সেক্যুলার রাষ্ট্রের দর্শন নিয়ে যদি দাঁড়াতে পারি অবশ্যই জঙ্গিবাদ পরাস্ত হবে। জনগণের জাতীয় ঐক্যই জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করবে।
সমাবেশে ২ মাসব্যাপী পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে আগামী ৬ আগস্ট দেশব্যাপী জঙ্গিবাদ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সমাবেশ ও র‌্যালি, ১৩ আগস্ট জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪ দল ঘোষিত কর্মসূচি এবং প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পার্টির শাখাকে কাজ করার নির্দেশ প্রদান। ১৭ আগস্ট রাশেদ খান মেনন হত্যা প্রচেষ্টা দিবসে দেশব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী দিবস পালন করা হবে। ২০ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বিভাগে সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের উদ্যোগে জঙ্গিবাদ সা¤্রাজ্যবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করা হবে।
সমাবেশে পলিটব্যুরো সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নুরুল হাসান, মাহমুদুল হাসান মানিক, হাজেরা সুলতানা, কামরুল আহসান প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন