শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পশুর চেয়ে ক্রেতা কম

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:০২ এএম

ঈদুল আজহার ২ দিন বাকি থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির পশুরহাটে এখনো ক্রেতা সঙ্কটে বিক্রেতারা। খোদ বরিশাল মহানগরীর ৪টি পশুর হাটে এখনও কেনাবেচা জমে ওঠেনি। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের অন্য জেলা-উপজেলার সাপ্তাহিক হাটেও ক্রেতা সমগম খুবই কম। ফলে ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের বাড়ছে ভাবনা। অনেকেই পুঁজি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে হতাশায় আছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মতে, দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় ২০ হাজার খামারির কাছে এবার ১ লাখ ১৩ হাজার ১১২টি ষাঁড়, প্রায় ২১ হাজার ৫শ’ বলদ, ১৭ হাজার গাভী, ৫ হাজার ৮শ’ মহিষ, ৩০ হাজার ছাগল ও খাশি এবং প্রায় ৬শ’ ভেড়া মজুদ রয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক পর্যায়ে আরো প্রায় ১০ হাজার বিভিন্ন ধরনের কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। এবার দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলাতে প্রায় পৌনে ৩শ’ কোরবানির পশুহাট বসার পরিকল্পনা করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। তবে সংশ্লিষ্টদের মতে করোনা সঙ্কটে এবার দক্ষিণাঞ্চলে পশু কোরবানির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে অন্তত ৩৫-৪০% হ্রাস পেতে পারে। এতে ক্রেতা সঙ্কট দেখা দিতে পারে। তবে পশ্চিমাঞ্চল থেকে গরু না আনা না হলে এ অঞ্চলের পশু অবিক্রিত থাকার কথা নয়। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মতে, গত বছর দক্ষিণাঞ্চলে ৪ লাখ ৩৪ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। যা ছিল আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৫% বেশি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নগরীতে বাঘিয়া ও পোর্টরোড কসাইখানা দু’টি স্থায়ীহাট ছাড়া রূপাতলী সোনারগাঁও টেক্সটাইল মিল ও কাউনিয়া টেক্সটাইল মিল গেটের সামনে আরো দু’টি অস্থায়ীহাটের অনুমতি দিয়েছে। তবে কসাইখানাহাটে এবার পশু বিক্রি না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অপর ৩টি হাটে গত সোমবার থেকে ৫ দিন পশু বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে। নগরীর পশুর হাটের একাধিক ক্রেতা জানান, হাটে গরু উঠেছে, কিন্তু বেচাকেনা নেই। দাম বেশি চাওয়ায় ক্রেতার আগ্রহ কম। স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে ক্রেতাদের অভিযোগ এটি কারো নজরদারিতে নেই। হিজলা উপজেলার টেকেরহাটে প্রচুর গরু উঠছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। ওই হাটের ইজারাদার হারুন অর রশিদ জানান, দিনের ৩টা পর্যন্ত দু’টি গরু বিক্রি হয়েছে। গত বছর যে গরু ১ লাখ টাকা বিক্রি করেছি, এবার সেই গরু ৮০ হাজার টাকাও বলছে না ক্রেতা। ইজারাদার বলেন, করোনা সংক্রমণের ভয়ে মানুষ হাটে আসছেন না। একই চিত্র দক্ষিণাঞ্চলের জেলা-উপজেলার প্রায় সব পশুরহাটে। দক্ষিণাঞ্চলের কোন পশুরহাটেই মহামারি করোনার স্বাস্থ্যবিধি বলতে কিছু নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন