শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

উপজেলা পর্যায়ে প্রথম করোনা হাসপাতাল ফটিকছড়িতে

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২০, ৯:৪৭ পিএম

জনগণের অনুদানের টাকায় সরকারী পরিত্যক্ত হাসপাতালকে করোনা (কোভিড-১৯) হাসপাতালে রূপান্তর করে ইতিহাস গড়লেন ফটিকছড়িবাসী এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রথম করোনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হলো ফটিকছড়িতেই।
জানা যায়, ফটিকছড়ি সদরে এক যুগ ধরে পরিত্যক্ত ২০ শষ্য হাসপাতালকে গত ৮ জুন করোনা (কোভিড-১৯) হাসপাতালে রূপান্তর করার ঘোষণা দেন ত্বরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিব্লু বশর মাইজভান্ডারী এমপি এবং জনগণ থেকে সাহার্য্য সংগ্রহের জন্য একটি কমিটি করে দেন। করোনা দুর্যোগ মুহুর্তেও সর্বস্তরের ফটিকছড়িবাসী তাদের দানের হাত খুলে দেয় স্বপ্নের করোনা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায়। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩৮ হাজার ৩ শত ৩২ টাকা নগদ অনুদান এবং ৮০ লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসা সরঞ্জাম কিনে দিয়েছে সর্বস্তরের ফটিকছড়িবাসী। মূলত: জনগণের টাকায় সরকারী হাসপাতাল এখন জনগণই পরিচালনা করবে। যেটি দেশের ইতিহাসে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম করোনা হাসপাতাল। ফটিকছড়ির এ পরিত্যক্ত ২০ শয্যা হাসপাতালটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার করে দেয় উপজেলা পরিষদ। গত ২৭ জুলাই করোনা পরিস্থিতির কারণে অনাড়ম্বর ভাবে স্বপ্নের করোনা হাসপাতালটি উদ্বোধন হয়। এ উপলক্ষ্যে ফটিকছড়ির ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ জানে আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ হলে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফটিকছড়ি’র এমপি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, মুজিব শত বর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ফটিকছড়ি কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ উপহার দিলাম। আশাকরি উনি জনবল দিয়ে প্রতিদান দেবেন। একই ভাবে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, স্বাস্থ্য বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডাঃ সেখ ফজলে রাব্বি। আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মোঃ আবু তৈয়ব, ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী, মহিলার ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মোঃ ইসমাঈল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নাভিল চৌধুরী, ডাঃ জয়নাল আবেদীন মুহুরী প্রমুখ।
পরে করোনা হাসপাতালটির উদ্যোক্তা এবং স্বপ্নদ্রষ্টা সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন, এটি পুরো দেশে মডেল এবং বিরল। করোনা পরবর্তী এটি মা ও শিশু হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে। উদ্বোধনের পর পুরো ফটিকছড়ি জুড়ে আনন্দ চলছে। আগামী ২ আগষ্ট থেকে করোনা রোগী ভর্তি শুরু হবে; তবে ফটিকছড়িবাসীই অগ্রাধিকার পাবে। এ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এবং হাই ফ্লো ন্যাজল ক্যানেলাসহ বিশেষায়িত ব্যবস্থা সন্নিবেশিত রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Dr.Fuad Md.Abdul Hadi ৩১ জুলাই, ২০২০, ১:০৮ পিএম says : 0
আল্লাহ র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন