রাজধানীর পশুর হাটে এবার ট্রেনের গরু এলেও বেশির ভাগ গরু আসে বাস ও নৌকায়। আর গরু আনা নিয়ে পথে পথে চাঁদাবাজি নিত্য ঘটনা। করোনাকালে এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসা কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবছর বিভিন্ন এলাকায় ঢাকামুখি গরুর ট্রাকে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, থানা পুলিশ, হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে। এবার সেই চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়নি বলে জানিয়েছেন বেপারিরা। তারা বলছেন, কোরবানির পশু পরিবহনে এবার চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়নি। হাটে নির্বিঘেœ পশু নিয়ে আসতে পেরেছেন। রাজধানীর হাটগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও সন্তুষ্টি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের বলছেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের কঠোর নির্দেশনা এবং তদারকির কারণে এবার কোরবানির পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি হচ্ছে না। কোরবানির পশু পরিবহনকে কেন্দ্র করে যেন কোনও চাঁদাবাজি না হয় সেক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন ড. বেনজীর। গত ২৩ জুলাই পুলিশ সদর দফতর থেকে দেশের সব ইউনিট প্রধানদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এ বার্তা দেন। কোরবানির পশুবাহী গাড়ি বা ট্রলার কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া না থামানোর জন্যও পুলিশ সদস্যদের প্রতি নির্দেশ ছিল আইজিপির।
বগুড়ার গুরদাসপুর থেকে সাতটি গরু নিয়ে এবার ঢাকায় এসেছেন মোস্তফা। ট্রাকে করে আসার পথে কোথাও কোনও চাঁদা বা বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি বলে জানান এই ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, এইবার পরিস্থিতি খুব ভালো ছিল। রাস্তায় কাউরে টাকা দেয়া লাগে নেই। শনিরআখড়া হাটে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতিবছর পথে পথে ট্রাকে চাঁদা দিতে হলেও এবার কোথাও চাঁদা দিতে হয়নি।
ট্রাকে করে গরু আনার সময় পথে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য না থাকায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কুষ্টিয়া সদর থেকে ঢাকার শনিরআখড়া হাটে গরু নিয়ে আসা বেপারি মো. হোসেন। তিনি বলেন, এবার পথে কোনও সমস্যা হয়নি। আগে নানা জায়গায় হয়রানি হতো, চাঁদা দিতে হতো। এবার তা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন