ইন্দুরকানীতে এক শিক্ষকের স্ত্রীকে সন্ত্রাসীরা দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। প্রভাবশালীদের চাপে অপমৃত্যু মামলার তিন দিন পর হত্যা মামলা । হত্যা কান্ডের ঘটনায় স্থানীয় দুই যুবলীগের নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মরাদেহ উদ্ভার করে
ইন্দুরকানী থানা পুলিশ একটি অপমৃত্যু মামলা করে লাশ ময়না তদন্তে পাঠালে প্রাথমিক ভাবে ডাক্তারী পরীক্ষায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানানো হয়। সোমবার উপজেলার চরণী পত্তাশী এলাকায় এ ঘটনা ঘটলেও পুলিশের চোখে হত্যাকান্ড ধরা পড়ে নি। তবে মরদেহের ডাক্তারী পরীক্ষার পর বুধবার রাতে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় চরণী পত্তাশী ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি অনিমেষ হালদার (৩৫) ও যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলআমিন বাবু (২২) কে গ্রেফতার করে। আল আমিন বাবু পত্তাশী ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ত্সলিমা আকতারের ছেলে।
তিন দিন পর বৃহস্পতিবার শিক্ষক মধুসুধন হালদার পুনরায় বাদী হয়ে তার স্ত্রী গোলাপী রাণী হত্যার অভিযোগ ইন্দুরকানী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায় , সোমবার বিকালে উপজেলার চরণী পত্তাশী গ্রামের পত্তাশী জনকল্যান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মধুসূদন হালদার স্ত্রী গোলাপী রাণী (৬৫) কে ঘরে ঢুকে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মধুসূধন হালদার জানান, আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত ও তার সাথে থাকা স্বর্নের চেইন ও স্বর্ণের দুল সহ কয়েকটি ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা নিয়ে যায় । ধারণা করা হচ্ছে দূবৃত্তদের চিনে ফেলায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। প্রথমে আমাকে ভুল বুঝানো হয়েছে।
ইন্দুরকানী থানা ওসি তদন্ত মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, স্কুল শিক্ষকের স্ত্রীকে হত্যার ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যু মামলা পরে ডাক্তারী পরীক্ষায় হত্যা কান্ড নিশ্চিত হয়ে তিন দিন পর বৃহস্পতিবার হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দুইজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাার তদন্ত চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন