টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গত ১০ বছরের ন্যায় এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানি দিচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী। তিনি উপজেলার গোড়াই ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার। তার বাড়ি ওই ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে।
তিনি গত বুধবার জানান, ১৯৬২ সালে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর মাধ্যমে তিনি মুজিব আদর্শে দীক্ষিত হন। পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি মুজিব আদর্শ ত্যাগ করেননি। এজন্য এলাকায় তাকে অনেক নির্যাতনও সইতে হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ১/১১ এর পর শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) মুক্ত হয়ে দেশের শাসনভার নিতে পারলে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় তার (শেখ হাসিনা) নামে পশু কোরবানি দেবেন। সেই থেকে গত ১১ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানি দিয়ে আসছেন। এবারও তিনি ৬৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন। আগামী ১ আগস্ট ঈদুল আজহার দিন প্রধানমন্ত্রীর নামে কোরবানি করবেন। ৭ সন্তানের জনক মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী এলাকায় একনিষ্ঠ মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে পরিচিত।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে তিনি বলেন, বয়স হয়ে গেছে, আগামী বছর কোরবানি পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রাখবেন কি-না জানি না।
গোড়াই খামারপাড়া জামে মসজিদের ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ও একই গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কাশেম জানান, মুক্তিযোদ্ধা জাবেদ আলী বিগত প্রায় এক যুগ ধরে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে পশু কোরবানি করছেন।
মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক দুর্লভ বিশ্বাস বলেন, জাবেদ আলী একজন সত্যিকারের মুজিব সৈনিক। তিনি স্পষ্টবাদী ও সব সময় ন্যায়ের পক্ষে তার অবস্থান থাকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন