শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চট্টগ্রামে রোদ-বৃষ্টির খেলা : বিড়ম্বনা শেষে স্বস্তি

বিশেষ সংবাদদাতা, চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২০, ১০:১৪ এএম

ভরা বর্ষার শ্রাবণ মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, বর্ষার মৌসুমী বায়ুমালা বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয়। মেঘ-বাদল এ সময়ে আবহাওয়ায় স্বাভাবিক মতিগতি। পূর্বাভাস মতে, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে বাড়তে পারে। শ্রাবণেও অনেক জায়গায় ভ্যাপসা গরম পড়ছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার দিবসের শুরুতে আজ শনিবার ভোরবেলা থেকেই চলে শ্রাবণে রোদ-বৃষ্টির খেলা। অবশেষে (সকাল সাড়ে ৮টা থেকে স্থানভেদে সাড়ে ৯টার পর) মেঘ-বাদল কেটে গিয়ে এ মুহূর্তে রোদ ঝলমল চট্টগ্রাম মহানগরী।
শনিবার ভোরে চট্টগ্রামের আকাশ ঘনঘোর মেঘে ঢেকে যায়। এরপরই শুরু হয় হিমেল দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কমবেশি বৃষ্টিপাত হয় অধিকাংশ এলাকায়। এ সময় ঈদ জামাতমুখী মুসল্লীদের কিছুটা বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। বন্দরনগরীর সড়ক রাস্তাঘাট অলিগলি কাদাপানিতে সয়লাব।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার পর চট্টগ্রামের অনেক জায়গায় মেঘের কোলে রোদের ঝিলিক দেখা দেয়। আবার কোথাও কোথাও মেঘ-বৃষ্টির খেলা দফায় দফায়।
শ্রাবণী বর্ষণের কারণে কোরবানী পশু জবাই-কাটা-ছেলায় ঘটে বিঘœ। বৃষ্টির বাগড়া ঠেকাতে কোরবানীদাতারা আগেই বাড়িঘরের বারান্দায়, আঙিনায় তাঁবু কিংবা ত্রিপল-প্যান্ডেল টানানোর বন্দোবস্ত করে রাখেন। অবশেষে রোদের ঝিলিকে সবার মাঝে ফিরেছে স্বস্তি।
২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি-বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যেতে পারে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড রংপুরে ১১৬ মিলিমিটার।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ মিলিমিটার। ঢাকায় সর্বোচ্চ ৩৫.১ এবং সর্বনি¤œ ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অনেক জায়গায় ভরা বর্ষায়ও ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। যা সামনের কয়েকদিনে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের আলামত বহন করছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, বর্ষারোহী মৌসুমী বায়ুর একটি বলয় ভারতের রাজস্থান থেকে বিহার-পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে বর্ষার মৌসুমী বায়ু কম সক্রিয় এবং দুর্বল। সমুদ্রবন্দরে আপাতত সতর্ক সঙ্কেত নেই। তবে সাগর উপকূল কিছুটা উত্তাল রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ শিকার ব্যাহত হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন