করোনাভাইরাস ঈদের আনান্দ থামাতে পারেনি। বরং এবার কোরবানিতে শহর ও গ্রামে ছিল ভিন্ন দৃশ্য। আনান্দঘন পরিবেশে প্রত্যেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে কোরবানি দেন। ঈদের নামাজ আদায়েও ছিল চিরচেনা দৃশ্যের অনেকটাই উল্টোটা। ঈদগাহর বদলে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় হলেও সেটি ছিল অন্যরকম। কল্পনাতীত উপস্থিতি এবং সুন্দর পরিবেশে দুরত্ব বজায় রাখেন। করোনা মানুষের সচেতনতা বাড়িয়ে দিয়েছে।কোরবানি ঈদের চিরচেনা রূপবদল ঘটালো করোনা। চারিদিকে ভিন্নধারার জীবনযাত্রা দেখা গেল।
যশোর নতুন খয়েরতলা জামে মসজিদের ইমাম মুফতি ওসমান গণি হাবিবী বললেন, করোনার ভয় মানুষের আবেগ অনুভূতিকে থামাতে পারেনি। ঈদের জামাত মসজিদে হলেও আনান্দ ছিল না মোটেও কমতি। কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রেও বরং তুলনামূলক বেশি হয়েছে।
লোকজন দুরে দুরে গরু ও ছাগল কোরবানি দেন। করছেন দুরত্ব বজায় রেখে গোশত কাটিকাটি। যারা গোশত সংগ্রহের জন্য এসেছে তারা দুরে বসে আছেন কখন বিতরণে ডাক পড়বে। আবার চামড়া সংগ্রহকারীরাও দুরত্ব বজায় রেখে কখন কী দামে চামড়া বিক্রি হবে তা শুনছেন। করোনা আসলে অনেককিছু শিখিয়ে দিলো। তার প্রমাণ পাওয়া গেল শহর ও গ্রামের কয়েকটি জায়গায় ঘুরে।
শহর ও গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, মানুষের মন মানসিকতারও অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। বিত্তবান অথচ দান করতেন না, তাদের অনেকেই এবার প্রাণখুলে দান খয়রাত করেছেন। যশোর পুলেরহাটের ইদ্রিস আলী বললেন, করোনার কারণে এবার ভিন্নমাত্রার কোরবানির ঈদ হচ্ছে। আগের চিত্রের অসেটাই পরিবর্তন ঘটেছে।
জেলা প্রশাসন থেকে করোনার ভয়কে জয় করে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দেয়া ও গোশত বিতরণসহ সকল কর্মকান্ড পরিচালনার জোরালো আহ্বান জানানো হয়েছে বিভিন্নপন্থায়।
যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে সর্বস্তরের জনসাধারণকে পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে উল্লেখ করেছেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন