করোনা টেস্টের নমুনা দেওয়ার প্রায় ৩ মাস পর রিপোর্ট পেয়েছেন নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের দুই টিম মেম্বার। এতোদিন পর রিপোর্ট পেয়ে বিস্মিত তারা।
শনিবার (১ আগস্ট) দুপুরে ওই দু’জনের মোবাইলে মেসেজে করোনা টেস্টের রিপোর্ট পাঠানো হয়। তাতে দুজনকেই করোনা নেগেটিভ বলে উল্লেখ করা হয়। এতোদিন পর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাঠানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ।
শনিবার রাতে খোরশেদ ফেসবুকে লেখেন, ঈদের সব কাজ শেষ করে রাত ৮টায় ভাইবেরাদার ও বন্ধুদের নিয়ে কার্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় উপস্থিতদের মধ্যে পরপর দুজনের মোবাইলে করোনা টেস্টের মেসেজ আসে। দুইজনেরই করোনা নেগেটিভ। মেসেজে উল্লেখ আছে, গত ৯ জুন না.গঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে তাদের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছিল, আজ ফলাফল নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু আশ্চর্য হওয়ার কারণ হলো যে, তাদের দুজনের একজনও গত ২ মাসের মধ্যে করোনা টেস্টের আবেদন করেননি বা নমুনা দেননি। বরং গত মে মাসে তারা করোনা পরীক্ষা করায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে একেবারে নমুনা সংগ্রহের তারিখসহ যদি এমন ভুয়া রিপোর্ট দেওয়া হয়, তাহলে কী উপায়? যদি তারা করোনা পজিটিভ হতো তাহলে তাদের অবস্থা এতোদিনে কী দাঁড়াতো?
খোরশেদ জানান, আমি ধরে নিলাম ভুয়া রিপোর্ট নয়, সঠিক রিপোর্ট, তাহলে ৩ মাস পর ফল জানানো কেন? যদি তারা পজিটিভ হয়ে থাকতো, তাহলে এতদিনে কতগুলো মানুষকে সংক্রমিত করতো? এ ব্যাপারে আরো সতর্ক হওয়া উচিত।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জের খানপুরে জেলা করোনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়ের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, অনেকদিন আগে নমুনা দিলেও তার নিজেরই দুটি টেস্টের রিপোর্ট এখনো পাননি। এ নিয়ে তারও ক্ষোভ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, আমি যখন আক্রান্ত হয়েছিলাম মার্চের শেষে দুবার নমুনা দিয়েছিলাম। তখন আমাদের ল্যাবে টেস্ট শুরু না হওয়ায় আমরা ঢাকায় নমুনা পাঠাতাম, কিন্তু এখনো আমার নিজের ওই দুই নমুনার ফলাফল আসেনি। পরে আমাদের এখানে ল্যাব আসার পর টেস্ট করে নিশ্চিত হয়েছিলাম যে, আমি নেগেটিভ। আমরা চেষ্টা করি, আমাদের হাসপাতালে দ্রুত নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিয়ে দিতে। কিন্তু ঢাকায় পাঠানো আগের নমুনার ফলাফল নিয়ে আমার নিজেরও কিছুটা হতাশা রয়েছে।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন