করোনা সঙ্কটের প্রায় চার মাস পর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। গত চার মাস ধরেই বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারের পর্যটন জোনের হোটেল মোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছিল নীরব নিস্তব্ধ। ঈদুল আজহার পর সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন একমত হলেও ঈদের চতুর্থ দিনেও তার অনুমতি মেলেনি। তবে আজ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও হোটেল-মোটেল পর্যটন ব্যবসায়ীদের সাথে এক বৈঠকের মাধ্যমে কবে থেকে হোটেল ও বিনোদনকেন্দ্র খুলে দেয়া হবে তার নির্দেশনা জানা যাবে।
এদিকে, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন স্পষ্ট অনুমতি না দিলেও লকডাউন শিথিল থাকায় ভ্রমণ পিয়াসী হাজার হাজার পর্যটক ইতোমধ্যে কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে শুরু করেছেন। গতকাল বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট ও ডলফিন মোড় ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী পুরুষ সৈকতে বিচরণ করতে। কেউ কেউ সাগরের পানিতে নেমে শরীর শীতল করছেন, কেউ কেউ দৌড়াদৌড়ি ও মুক্ত বাতাসে দীর্ঘদিনের ক্লান্তি কাটিয়ে নিতে দেখা গেছে।
টুরিস্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, সৈকতে বিচরণকারী অধিকাংশ পর্যটক দেখা গেছে মাস্ক ব্যবহার করছেন। তবে ব্যাপক গেদারিং হলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয় নিয়ে তারা কিছুটা শঙ্কিত। গত ৩০ জুলাই থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে চালু হওয়ায় এবং পরিবহন সংস্থার বাসে পর্যটক আসতে শুরু করেছেন। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হোটেল-মোটেল বিনোদন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার অনুমতি দেননি তবে জেলা প্রশাসন হোটেল- মোটেল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যৌথ বৈঠকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন