শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

চিলমারীতে ১ কিলোমিটার শহর রক্ষা বাঁধ ও ১৫ ভেন্টের রেগুলেটর স্থাপনের ঘোষণা পানি সম্পদ সচিবের

কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২০, ১১:৩৫ এএম

কুড়িগ্রামে গত ২৬ জুলাই থেকে বন্যা শুরু হয়। জেলার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদনদীর পানি বেড়ে যায়। জেলার ৫৬টি ইউনিয়নের প্রায় চার শতাধিক ও দ্বীপচর বন্যার পানিতে এক মাস ১০দিন বন্যার পানির সাথে লড়াই করে বানভাসি প্রায় সাড়ে ৩লাখ মানুষ।
জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে ৩২টি পয়েন্টে ৭ কিলোমিটার নদী ভাঙন হয়েছে। বন্যায় বীজতলা, আউশ, পাট, মরিচ ও শাকসবজীর ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০হাজার হেক্টর জমি। নদীগর্ভে বিলীন হয় ৫০০ বসতভিটা, ৫টি স্কুল। ৩৭ কিলোমিটার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বানভাসিদের দৃষ্টি ত্রাণ ও সম্পদ রক্ষা করা থাকায় এবং শিশুদের দিকে নজর না দেয়ায় বানের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ১৭শিশুর।
এছাড়াও রাজারহাটের বুড়িরহাট স্পার, সদরের সারোডোবের বিকল্পবাধ বন্যার পানির তোড়ে ভেসে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় শতাধিক পরিবার। অপরদিকে রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের গাবুর হেলান স্পারটি পানি উন্নয়ন বোর্ড শত চেষ্টা করেও ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পারবে কিনা আশংকা থেকেই যাচ্ছে।
এবারে বন্যায় চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুব উপজেলা শহর পানিতে তলিয়ে থাকে।বিশেষ করে চিলমারী উপজেলা শহরের ১০ কিলোমিটার রাস্তা পানিতে তলিয়ে থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগের শিকার হয় উপজেলা শহরের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার চিলমারী উপজেলা শহরের জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে চিলমারী উপজেলাকে বন্যার পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা রোধ করতে ১ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সাথে একটি রেগুলেটর স্থাপন করা হবে। যাতে করে বন্যার পানি উপজেলা শহরে প্রবেশ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করতে না পারে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও ১৫ ভেন্টের রেগুলেটর দিয়ে তা নদীতে বের করে দেয়া সম্ভব হবে। উল্লেখ্য চিলমারী উপজেলা শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় গত দুই বছর ধরে বন্যার পানি ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আসছে। এর ফলে দীর্ঘ সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলা শহরের বাসিন্দাদের।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কুড়িগ্রামের রাজিবপুর ও চিলমারী উপজেলার দূর্গম চরাঞ্চলে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও ৬০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো: জাকির হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তারাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আরিফুল ইসলাম, চিলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার বীর বীক্রম, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডব্লিউ এম রায়হান শাহ্, প্রমুখ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন