ঝিনাইদহ থেকে মোস্তফা মাজেদ : পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ স্কুল-শিক্ষক মিনারুল ইসলাম (৩৫)কে অক্ষত অবস্থায় পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আকুতি জানিয়েছেন তার স্ত্রী মোছা. মেহেরুন নেছা মেরী। বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি ঝিনাইদহ পুলিশ প্রশাসনের প্রতি এ দাবি করেন। ঝিনাইদহ লিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষক মিনারুল ইসলাম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার খামারাইল গ্রামের মৃত ইউনুস আলী খোন্দকারের ছেলে। গত ৩০ জুলাই রাত ৩টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের হামদহ খোন্দপাকার পাড়া থেকে পোশাক পরিহিত পুলিশ সদস্যরা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। সাংবাদিক সম্মেলনে নিখোঁজ স্কুল-শিক্ষক মিনারুলের মা সুফিয়া খাতুন, শাশুড়ি সেলিনা খাতুন, ভাই রোকনুদ্দীন, বড় বোন লিপি খাতুন, খামারাইল গ্রামের মাতুব্বর আক্কাচ আলীসহ অর্ধশত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে স্ত্রী মোছা. মেহেরুন নেছা মেরী লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন তার স্বামী মো. মিনারুল ইসলাম হতদরিদ্র একটি পরিবারের সন্তান। ছোট বেলায় এতিমখানায় থেকে পড়ালেখা করেছেন। পরবর্তীতে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে পড়ালেখা শেষ করে ঝিনাইদহ শহরে একটি কেজি স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। স্ত্রী মোছা. মেহেরুন নেছা মেরী দ্ব্যর্থহীনভাবে জানান, আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করেন না।
সাংবাদিক সম্মেলনের সময় হলো ভর্তি স্বজনরা ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নাকাটি করতে থাকেন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্ত্রী মেহেরুন নেছা মেরী ডুকরে ডুকরে কান্নার সময় তার স্বজনরাও একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি করতে থাকেন। এদিকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া নিখোঁজ স্কুল-শিক্ষক মিনারুল ইসলামের বিষয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, এই নামে পুলিশ কাউকে আটক করেনি। তারপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন