স্টাফ রিপোর্টার : হজ পালনের জন্য প্রত্যেকের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা একান্ত প্রয়োজন। কারণ হজের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতা শ্রমসাধ্য ব্যাপার। পরিবর্তিত পরিস্থিতি জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ধর্মীয় আবেগ, অতিরিক্ত পরিশ্রম, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে হাজীরা বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের পানিশূন্যতা, সর্দিজ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা, ডায়রিয়া এবং সুগার কম-বেশি হতে পারে। পায়ে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণ রোগ সম্পর্কে (ডায়রিয়া, সর্দিজ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেটে গ্যাস, আমাশয় এবং বুকে ও প্রস্রাবে ইনফেকশন এবং এর নিরাময়ের জন্য ওষুধ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিয়ে এবং অন্যান্য রোগীরা তাদের ডাক্তারের সঙ্গে রোগ সম্পর্কে আগে থেকে পরামর্শ করে প্রস্তুতি নিয়ে এই জটিলতা থেকে রেহাই পেতে পারেন। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডায়াবেটিস ও হরমোন) বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। রোগীদের হজ-পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বলেছেন, প্রতিদিন আধা-ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস, ডায়াবেটিস এবং ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রেখে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সুগার এবং ব্লাড প্রেসার কন্ট্রোল রেখে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা, হাইপোগ¬াইসেমিয়া এবং সিক ডে ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জানা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, ইনসুলিন, সিরিঞ্জ, গ্লুকোমিটার, তুলা, ডিপস্টিক প্রভৃতি আলাদা প্লাস্টিকের খালি বাক্সে নেয়া, সবসময় প্রেসক্রিপসন সাথে রেখে ফটোকপি অন্য ব্যাগে রাখা এবং গরম জায়গায় ইনসুলিন পানিতে রাখা অথবা সরবরাহকারকদের কাছ থেকে পরামর্শ নেয়া।
এছাড়া হজের সময় রোগীদের করণীয় সম্পর্কে প্রফেসর ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, সব সময় কিছু খাবার (গ্লুকোজ, চিনি, বিস্কুট, খেজুর) সঙ্গে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি (জমজমের) খাওয়া, যারা ইনসুলিন (২-৩ বার) নিয়ে থাকেন তারা ইহরামের পূর্বেই গ্লুকোমিটার দিয়ে গ্লুকোজ এবং ডিপস্টিক দিয়ে প্রস্রাবে কিটোন দেখে নিবেন, ইহরামের দিনগুলোতে প্রস্রাবের সুগার দেখে ইনসুলিন ও ডায়াবেটিসের ওষুধ ঠিক করা, তাওয়াফের আগে, সা’ঈ-এর আগে, কংকর নিক্ষেপের আগে, কুরবানী এবং অতিরিক্ত পরিশ্রমের জায়গাতে আগে কিছু খেয়ে নেয়া, ওই সব পরিশ্রমের দিনগুলোতে ইনসুলিন ২৫% কম নেয়া এবং সালফোনাইল ইউরিয়া গ্রুপের ওষুধ ২৫% কম খাওয়া ভালো বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটির সময় পায়ের যতœ নেয়া, জমজমের নরমাল পানি বেশি বেশি পান করা এবং যে কোন জরুরি অবস্থায় হজ মেডিকেল টিমের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন