লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বন্দর ক্ষতিগ্রস্তের কারণে খাদ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় দেশটিতে মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করছে জাতিসংঘ। বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমদানি কমে গিয়ে খাদ্যের দাম বেড়ে মানবিক সংকট তৈরি হতে পারে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিনটি হাসপাতালসহ ভেঙে পড়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। মঙ্গলবার বিস্ফোরণে ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৫ হাজার মানুষ। এদিকে, বন্দর কর্তৃপক্ষের অবহেলা অথবা বহিরাগত হস্তক্ষেপে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন। জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডবিøউএফপি) এক মুখপাত্র জানিয়েছে, লেবানন প্রায় ৮৫ শতাংশ খাবার আমদানি করে। ডবিøউএফপি এরই মধ্যে বৈরুতবাসীর জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট খাবার পাঠিয়েছে। প্রতি প্যাকেট খাবারে পাঁচ সদস্যের পরিবার একমাসের মত চলতে পারবেন। দেশটিতে বিস্ফোরণের আগে শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষের সাহায্যের প্রয়োজন ছিলো, এর মধ্যে শতকরা ৩৩ ভাগ মানুষ তাদের চাকরি হারিয়েছেন। শুধু তাই নয় দেশটিতে দশ লাখের মত মানুষ এখন দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করছে। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিপর্যস্ত বৈরুতের পাশে দাঁড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার লেবাননে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লেস মিশেল। শনিবার তিনি বৈরুতের উদ্দেশে রওনা দেন। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ইতালি, ফ্রান্স, ইরান, ইরাক, কুয়েত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানবিক ও মেডিকেল সহায়তা পাঠানো হয়েছে। ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লেস মিশেল এক টুইট বার্তায় তার লেবানন সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আমরা বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাব। রয়টার্স, এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন