হাতিয়ায় উপজেলায় কুলছুমা বেগম (২২) নামের এক যুবতীকে গলাটিপে ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় আব্দুল্যা আল নোমান হৃদয় (২৪) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। যুবক হত্যার ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল দুপুরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত কুলছুমা বেগম হাতিয়ার ছানন্দী ইউনিয়নের রুসুলপুর গ্রামের জিয়াউল হকের মেয়ে এবং আব্দুল্যা আল নোমান হৃদয় চৌমুহনী পৌরসভার মিয়ারপুল এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- মিয়ারপুল এলাকার সোহাগ, নাঈম, জাহাঙ্গীর আলম, জাবেদ হোসেন, বেলাল হোসেন, জাহিদ হাসান জীবন, জহির উদ্দিন ও ইমরান হোসেন।
হাতিয়া থানার (ওসি) আবুল খায়ের জানান, পারিবারিক বিষয় নিয়ে গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে বড় ভাই সফি আলম (২৫) এর সাথে তর্ক-বির্তকে জড়িয়ে পড়েন কুলছুমা বেগম। একপর্যায়ে কুলছুমাকে কিল-ঘুষি মেরে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ভাই সফি আলম।
এদিকে জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার মিয়ার পোল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুল্যা আল নোমান হৃদয় নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে যায় নোমান। এ সময় তাকে ওই পুকুরে গোসল করতে বাধা দেয় সোহাগ নামের এক যুবক। এনিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক-বির্তক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে দুপুর ২টার দিকে সোহাগসহ কয়েকজন যুবক নোমানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারধর ও পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের লোকজন নোমানকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল নেয়ার পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়ছে। নিহতের ভাই আব্দুল্যা আল মামুন রাজু বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন