রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঈদযাত্রায় ২৩৮ দুর্ঘটনায় নিহত ৩১৭ জন

করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনা!

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে এবারের ঈদে যাতায়াত সীমিত হলেও সড়ক দুর্ঘটনা কমেনি। মাত্র ১১ দিনে সড়ক-মহাসড়কগুলোতে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত হয়েছেন। আর সড়ক, রেল ও নৌপথ মিলিয়ে ২৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১৭ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২০ প্রকাশ করেন।
এতে বলা হয়, গত ২৬ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৩ দিনে ২০১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪২ জন নিহত ও ৩৩১ জন আহত হয়েছেন। উল্লিখিত সময়ে রেলপথে ৪টি দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। একই সময়ে নৌপথে ৩৩টি ছোট-বড় বিচ্ছিন্ন দুর্ঘটনায় ৭৪ জন নিহত ও ৩৯ জন আহত এবং ১৭ জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয় ৪ আগস্ট, এই দিনে ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ আগস্ট, এই দিনে ৮টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এই সময় একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৪ আগস্ট, এই দিনে ৩২ জন নিহত হন এবং একদিনে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন গত ৩১ জুলাই, এই দিনে ৫৫ জন আহত হন। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩২ দশমিক ৩৩ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৪৯ দশমিক ২৫ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে সংঘটিত হয়েছে।

মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর গণপরিহন সীমিত আকারে চালু থাকায় ঈদযাত্রায় ব্যক্তিগত পরিবহন ও ছোট যানবাহনে যাতায়াত বেড়েছে। মাত্র ১৫ থেকে ২০ শতাংশ যাত্রীর যাতায়াত হলেও সেই তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্বারোপ করে বেশ কিছু সুপারিশও তুলে ধরেন সংগঠনের মহাসচিব। তিনি বলেন, আমাদের মতো ছোট দেশের সীমিত রাস্তায় ছোট যানবাহনের আমদানি জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগত যানবাহনের চালকদের প্রশিক্ষণ, নিয়ন্ত্রয়ক সংস্থা বিআরটিএসহ ট্রাফিক বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনকে বিকশিত করা জরুরি। একইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনাকেও মহামারীর মতো গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ, এডিটরস ফোরামের সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী, ড্রাইভার্স ট্রেনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান নুর নবী শিমু, যাত্রীকল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব এম মনিরুল হক প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন