দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস। এতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৩৯৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৪৮৭ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০।
করোনাভাইরাস বিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি মোট ৮৫টি পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ১৪টি এবং পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৭৫৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৯টি। ২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, তাতে করোনা শনাক্ত হয়েছে দুই হাজার ৪৮৭ জনের মধ্যে। এতে এ পর্যন্ত শনাক্ত দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৪ জন এবং এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তিন হাজার ৩৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন এবং নারী ৩ জন। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৬৮৬ জন (৭৯ দশমিক ০২ শতাংশ) এবং নারী ৭১৩ জন (২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ)। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের ছয়জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের একজন ছিলেন। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছরের ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ৩৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৮৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ২১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪৭১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৯৭১ জন এবং ৬০ বছরের অধিক বয়সের এক হাজার ৫৯৯ জন ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, খুলনার সাত, চট্টগ্রামের ছয়, রাজশাহীর চার, ময়মনসিংহের এক এবং রংপুর বিভাগের দুজন ছিলেন। মোট মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৬২৭ জন, চট্টগ্রামের ৮০৪ জন, রাজশাহীর ২১৩ জন, খুলনার ২৫৯ জন, বরিশালের ১৩২ জন, সিলেটের ১৫৮ জন, রংপুরের ১৩৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ছিলেন ৭২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩২ জন এবং বাড়িতে দুইজন মারা গেছেন। বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১২ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
বুলেটিনে জানানো হয়, তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনড হয়েছেন ৮৪২ জন, সকল স্থলবন্দরে ২২৩ জন এবং দুটি সমুদ্রবন্দরে ১৫৭ জন। সর্বমোট এক হাজার ২২২ জনকে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এ পর্যন্ত স্ক্রিনিং হয়েছে আট লাখ নয় হাজার ৬১৮ জনের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন