দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটির বন্দর সম্পাদক সুলতান মাহমুদের ওপর হামলা চালিয়েছে একদল সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে রোববার রাতে হামলার শিকার সুলতানের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বাদি হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে মামলার ২ নম্বর আসামি আইনুল ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হচ্ছে- সোনামসজিদ বালিয়াদিঘি গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিকদের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও চাঁদাবাজি বন্ধে প্রতিবাদ তুলে আসছিল সুলতান মাহমুদ। একদল সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় সুলতানের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। গত শনিবার রাতে ব্যবসায়ী পার্টনার দেশ বন্ধু ইন্টারন্যাশনালের প্রোপ্রাইটর উমর ফারুকের কাছ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বালিয়াদিঘি আশ্বিনা বাগান মোড়ে পৌঁছামাত্রই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি মারাত্মকভাবে জখমপ্রাপ্ত হলে ব্যাগে থাকা উক্ত টাকা নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাতে একই কায়দায় সুলতানের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এদিকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটি। শ্রমিক সমন্বয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ডা. শিমুল এমপির ছোট ভাই সোহেল আহমেদ পলাশের লালিত ক্যাডার বাহিনীর হাতে দুই দফায় হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সুলতান মাহমুদ। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান, সুলতানের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রেক্ষিতে পুলিশ এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন