অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষার পর দ্বিগুন আয়তনে বর্ধিত হচ্ছে সিলেট সিটি করপোরেশন। রোববার (৯ আগস্ট) সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কয়েকটি এলাকা সিসিকের আওতাভুক্ত করে গণবিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত এলাকাগুলো যুক্ত হলে সিসিকের আয়তন বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫৮ বর্গকিলোমিটার। এর আগে ২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা থেকে উন্নীত হয়ে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে রূপলাভ করে। প্রথমধাপে ২৬.৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে যাত্রা শুরু করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে যেসব এলাকা (মৌজা) সিলেট সিটি কর্পোরেশেনে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে সেগুলো হল, সিলেট সদর উপজেলার টুকের বাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও–৮০, মইয়ারচর–৮১ (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ব্যতীত), খুরুমখলা শাহপুর– ৮২, আখালিয়া –৮৮, খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও– ৮০, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর ১ম খন্ড –৯৩, টিলাগড়– ৯৫, দেবপুর–৯৬, কসবা কুইটুক –১০০, সুলতানপুর চক– ১০১, পেশনেওয়াজ– ১০২, টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর ১ম খন্ড– ৯৩, টিলাগড়– ৯৫, দেবপুর–৯৬।এছাড়া দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি–১০৭, মনিপুর– ১০৮, আলমপুর– ১০৯, গোটাটিকর– ১১০, বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর– ১১৪, ধরাধরপুর –১১৫, বরইকান্দি –১১৬, গোধরাইল– ১২৬ এবং তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর– ১১৫, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ) ১১৬, বলদী– ১২৫ (আংশিক) (দাগ নম্বর ২১৯৯-২৩৪৯, ৩৫০৯-৩৫১১, ৩৫১৩, ৩৫৩৫)। তবে পূর্বে এসব মৌজার যেসব অংশ সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি অংশ এখন অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, অন্তর্ভুক্তি এলাকার অধিবাসীগণকে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্তের প্রাথমিক সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোন ধরণের পরামর্শ বা আপত্তি থাকলে জেলা প্রশাসক, সিলেট বরাবর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ, সিলেটের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান জানান, একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কারো আপত্তি থাকলে তা সমাধান করে প্রেরণ করা হবে মন্ত্রণালয়ে। তবে এখনো নতুন ওয়ার্ড এর সংখ্যা চুড়ান্ত হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন