ঈদের এক সপ্তাহ পর কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। জেলা, উপজেলা ও গ্রামে ঈদ করতে আসা লোকজন লম্বা ছুটি কাটিয়ে এখন যার যার কর্মস্থলের দিকে ছুটছেন। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ট্রেনের টিকিট দুই থেকে তিনগুণ দামে বিক্রি করছে। ট্রেনের পাশাপাশি বাসের টিকিটের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করেছে টিকিট কালোবাজারি চক্র।
করোনার কারনে যানবাহনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে যাতায়েতের কথা বলা বার বার বলঅ হচ্ছে। আর সেভাবে টিকিটও বিক্রি করা হয়। কিন্তু ট্রেনে সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করা হলেও তা বাসে উপেক্ষিত।
অনলাইনে ট্রেনের টিকিট অনেকটা সোনার হরিণ। বগুড়ার সান্তাহার জংশনের আশেপাশে ও শহরের অনেক দোকানে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ট্রেনের টিকিট। অনলাইনে টিকিট কেটে রেখে ওইসব দোকানের লোকজন যাত্রীদের কাছে দুই থেকে তিন গুণ দামে বিক্রি করছে। অনেকেই ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাধ্য হয়ে চড়া দামে টিকিট কিনছেন।
অপরদিকে বাসের টিকিট কাউন্টারে আগাম বুকিং দিয়ে রাখে সংঘবদ্ধ চক্র। জানা গেছে চক্রটি একদিন আগেই টিকিট কিনে নেয়। বাস কাউন্টারে গিয়ে যাত্রীরা টিকিট না পেলেও তাদের কাছে হাজির হয় বাইরে অপেক্ষমান কালোবাজারিরা। কর্মস্থলে ফিরতেই হবে বলে অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকায় বাসের টিকিট কালোবাজারিদের কাছ থেকে কিনেন।
এদিকে সাধারণ যাত্রীরা রেলওয়ে টিকিট কাউন্টোরে শতভাগ যাতে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করার আহবাহন জানিয়েছেন। সান্তাহার চা-বাগানের বাসিন্দা মো. ফারুক হোসেন জানান, সান্তাহার জংশন শহরে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে কতিপয় লোক ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেনের ৩৬০ টাকার টিকিট অনলাইনে কেটে রাখে। প্রতিটি টিকিট তারা এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে।
নওগাঁর ভবানীপুর গ্রামের মকবুল হোসেন জানান, সান্তাহারের স্থানীয় এক নেটের দোকান থেকে সান্তাহার থেকে খুলনাগামী আন্তনগর রূপসা ট্রেনের ৩০০ টাকার টিকিট ৮০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। ঈদের পর থেকে ট্রেনের টিকিট অনেকটা সোনার হরিণ হয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন