আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের উদ্দেশে বলেছেন, যারা এদেশের রাজনীতিতে রক্তপাত, হত্যা আর প্রতিহিংসা ছড়িয়েছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলা শোভা পায় না। বিএনপি’র নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে- বিএনপি মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক কারণে কাকে, কোথায় গ্রেফতার করা হয়েছে তা বলুন, তথ্য-প্রমাণ দিন।
গতকাল ময়মনসিংহ সড়ক জোন, বিআরটিএ ও বিআরটিসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় যুক্ত হন।
অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের কোনও দলীয় পরিচয় থাকতে পারে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার বিভিন্ন অপরাধে নিজেদের দলের লোকদেরও ছাড় দিচ্ছে না। তাহলে বিএনপি সমর্থিত কোনও অপরাধী গ্রেফতার হলে অভিযোগ কেন? কেন সেটাকে রাজনৈতিক ইস্যু করে তুলবেন? শেখ হাসিনার সরকার অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখে, রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
আগস্টে মাস এলেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের মাটি বীরের বীরত্বগাঁথার। আবার বিশ্বাসঘাতকতারও নিকৃষ্ট নজির আছে। হঠাৎ করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে ১৫ আগস্ট ঘটানো হয়েছে। ২১ আগস্ট বোমা হামলা করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এবং তারাই জজ মিয়া নাটক সাজিয়ে ঘটনা অন্যদিকে নিতে চেয়েছিল। ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি দিয়েছিল। তাই আগস্ট হলেই আমরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা নিয়ে।
মন্ত্রী বলেন, করোনা সংকেটর সার্বিক দিক বিবেচনা ও সামগ্রিক দিক বিশ্লেষণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সরকার। সরকার যথাসময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেবে। কোথাও কোথাও গণপরিবহনগুলো স্বাস্থ্যবিধি মানছে না এবং সমন্বয় করা ভাড়ার চেয়ে বেশি নিচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এ কাজে নিয়োজিত বিআরটিএ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি, যারা সরকারি নির্দেশনা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানায় উদাসিনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন