শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অস্ট্রেলিয়ার ৩০ সেরা উদ্ভাবনী প্রকৌশলীর তালিকায় বাংলাদেশী নিতু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০২০, ৮:৪৬ পিএম

অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৩০ উদ্ভাবনী প্রকৌশলীর তালিকায় এবার উঠে এলো বাংলাদেশি ড. নিতু সাঈদের নাম।বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন তিনি। -এসবিএস
জানা যায়, ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ৩০ উদ্ভাবনী প্রকৌশলীর একজন মনোনীত হয়েছেন এ নারী। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট) থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন ড. নিতু সাঈদ। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি ইউনিভার্সিটি থেকে ম্যাটেরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-ডক্টরালের কাজও শুরু করেন।

বর্তমানে মেলবোর্নের আরএমআইটি ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশি প্রকৌশলী ড. নিতু সাঈদ। তার গবেষণার ক্ষেত্র ইলেক্ট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন্স। ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ৩০ জন উদ্ভাবনী প্রকৌশলীর একজন মনোনীত হওয়ার বিষয়ে ড. নিতু বলেন, ‘গোটা অস্ট্রেলিয়া থেকেই গবেষকরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তাদের রিসার্চ প্রজেক্ট জমা দেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আমিও আমার প্রজেক্ট জমা দিয়েছিলাম। জুলাইয়ে এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার্স অস্ট্রেলিয়া প্রতি বছরই এটা করে। আমি যতটুকু জানি, এর আগে কোনও বাংলাদেশি প্রকৌশলী এ তালিকায় নির্বাচিত হননি।’

এ মেধাবী প্রকৌশলী বলেন, সত্যি বলতে, আমার পড়াশোনার ভিত গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের বুয়েট। পরে ২০১৬ সালে আরএমআইটির ভাইস চ্যান্সেলর পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আসি। ড. নিতু জানান, ন্যানো-ম্যাটেরিয়ালের অতি-সূক্ষ্ম ও পাতলা লেয়ার নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এগুলো মানুষের চুলের চেয়েও হাজারগুণ পাতলা। তিনি বলেন, আমরা মোবাইলে যে টাচস্ক্রিন ব্যবহার করি, সেই ন্যানো ম্যাটেরিয়ালকে পুনঃস্থাপিত করতে পারবে আমাদের উদ্ভাবিত নতুন ন্যানো ম্যাটেরিয়াল। অন্যান্য ন্যানো-ম্যাটেরিয়ালও বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের এনার্জি সেভিংয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।

ড. নিতু সাঈদ জানান, এই অর্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তার বাবা-মা এবং স্বামী তানজিব রুবাইয়্যাত। তিনিও বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিলেন। ড. নিতু বলেন, আমি আমার বাবা-মায়ের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন