মংলা বন্দর জেটিতে ঘোষনা বর্হিভূত আমদানি নিষিদ্ধ চার কন্টেইনার ভর্তি ৮০ মেঃ টন আফিম (পোস্তদানা) জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) দুপুরে এই আফিম জব্দ করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। মংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ন কমিশনার মোঃ শামসুল আরেফিন খান বলেন, জব্দকৃত পন্য কিভাবে এসেছে সব যাচায় বাচায় করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মংলা বন্দরের সহকারী ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ সোহাগ জানান, আমদানি নিষিদ্ধ এই পণ্য নিয়ে গত ১০ আগষ্ট সাইপ্রাস পতাকাবাহী জাহাজ ‘এম ভি স্যানজোর্জিও’ মংলা বন্দরের জেটিতে আসে। জাহাজটিতে থাকা ৩১৭ টি কন্টেইনারের মধ্যে চারটি কন্টেইনারে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আফিম (পোস্তদানা) আছে, এমন গোপন সংবাদে জাহাজটি বন্দর জেটিতে আসার আগেই আটক ওই পণ্যবাহী কন্টেইনার আটক করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ। এরপরে ১০ আগষ্ট বন্দর জেটিতে আসার পরেই ২০ ফিটের এই কন্টেইনার গুলোকে সংরক্ষিত করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব কন্টেইনার খুলে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ করে কাস্টম কর্তৃপক্ষ।
মংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মোঃ হোসেন আহম্মেদ বলেন, টেনিস বল আমদানির কথা থাকলেও আমদানিকারকরা আফিম আমদানি করছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (আমদানি পণ্য নাম্বার-২০২০/৫৩৫) এই নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ করা হয়।
আগত ‘এম ভি স্যানজোর্জিও’ স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মেসার্স ওশান ট্রেড লিমিটেডের খুলনাস্থ সহকারী ম্যানেজার মোঃ মেহেদি হাসান বলেন, ‘আমরা শুধু ওই জাহাজে থাকা কন্টেইনারগুলো আমদানি করেছি, তবে কন্টেইনারের মধ্যে কি পণ্য ছিল সেটা আমরা জানতাম না’। এটা ওই কন্টেনারে পণ্য আমদানিকারকরাই ভাল বলতে পারবেন ।
পণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার মের্সাস তাজ ট্রের্ডাস এর মালিক মোঃ সাব্বির হোসেন দাবি করেন, এই পণ্য তিনি আমদানি করেন নি, তিনি টেনিস বল আমদানির জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। এটা ভূলবশত মালয়েশিয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিউসাইন কর্পোরেশন পাকিস্থানে যে পন্য যাওয়ার কথা সেটি ভুলবসত বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। আমরা এবিষয়ে আমদানী সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। এবং মালয়েশিয়ান সরবরাহকারী প্রতিষ্টানকে তাদের পন্য ফেরত নেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছি। এ ভুল হওয়ার কারন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেনিস বল বিক্রির পাশাপাশি পোস্তদানাও বিক্রি করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন