সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার মুসলিমাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় সভাপতির সিল-স্বাক্ষর জাল করে সুপার ও সহ-সুপার নিয়োগ দেয়াসহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী গত ৬ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, মাদরাসার সহ-সুপার ও সুপার পদটি শূণ্য হওয়ার কারণে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর সহ-সুপার পদে মাওলানা আব্দুস সোবহানকে ও এ বছরের ১৩ মার্চ সুপার পদে মাওলানা আব্দুল মুমিতকে নিয়োগ দেয়া হয়। এ নিয়োগের সময় মাদরাসার সভাপতি মির্জা হেলাল উদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার পরও তাকে সভায় উপস্থিত দেখিয়ে তার সিল-স্বাক্ষর জাল করে এ নিয়োগ কার্যকর করা হয়। নিয়োগকালীন সময়ে কমিটির সদস্য সচিব তখন বলেছেন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিয়ে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়। সুপার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অত্র মাদরাসার সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সহ-সুপার আব্দুস সোবহান ও জুনিয়র শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম অনৈতিক উপায়ে আর্থিক লেনদেন করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়। এসব লেনদেনের প্রমানাদিও পাওয়া যায়। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, মাদরাসার সহকারী মৌলভী মাওলানা আব্দুস শহীদ ও জুনিয়র মৌলভী মাওলানা রাইহান উদ্দিন প্রায় ৩ বছর ধরে মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকে বেতন উত্তোলন করছেন। তাদের আত্মীয়দের দিয়ে শ্রেণি পাঠদান করানো হচ্ছে। মাদরাসার সহ-সুপার মাওলানা আব্দুস সোবহান বলেন, সুপার নিয়োগের সময় সভাপতি সাহেবের সিল-স্বাক্ষর আমরা জাল করিনি। কাগজগুলো আমেরিকায় পাঠিয়ে উনার সিল-স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। অথচ রেজুলেশনে লেখা রয়েছে- ‘মির্জা হেলাল উদ্দিন সাহেবের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।’ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মাহমদ হোসেন বলেন, সহ-সুপার নিয়োগের সময় সভাপতি সাহেব দেশে ছিলেন।
উনি আমেরিকায় যাওয়ার পর তার অনুপস্থিতিতেই আমি সব কাজ করছি। তবে, সভাপতির আমেরিকায় থাকা অবস্থায় কাগজপত্রে সিল-স্বাক্ষরের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। এ বিষয়ে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মির্জা হেলাল উদ্দিন প্রবাসে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, এরকম একটি অভিযোগপত্র আমি পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন